প্রিয়নবী (সা.) এর শারীরিক গঠন (পর্ব- ১)
নীলফামারি বার্তা
প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮
প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বিশ্বমানতার অনুকরণীয় ও অনুসরণযোগ্য আদর্শ।
তাঁকে নিয়ে রচিত হয়েছে হাজারো ছন্দ, কবিতা ও রচনা।
হাদিসে পাকে শুধু তাঁর প্রশংসায় ছন্দ, কবিতা আর গ্রন্থই রচিত হয়নি বরং তাঁর আকার-আকৃতির বর্ণনাও রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর মধ্যে যেমন উত্তম গুণাবলীর সর্বাধিক সমাবেশ ঘটেছিল; তেমনি তার দৈহিক সৌন্দর্য্য ছিল অতুলনীয়।
হাদিসের আলোকে প্রিয়নবী (সা.) এর গঠন সম্পর্কে কয়েকটি হাসিদ তুলে ধরা হলো-
> বিশ্বনবী (সা.) উচ্চতা:
হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব দীর্ঘ (লম্বা) ছিলেন না; আবার খাটোও ছিলেন না। তিনি ধবধবে সাদা আবার বাদামি বর্ণেরও ছিলেন না। তাঁর চুল একেবারে কোকড়ানো ছিল না আবার একদম সোজাও ছিল না।
৪০ বছর বয়সে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে নবুয়ত দান করেন। এরপর তিনি মক্কায় ১০ বছর এবং মদিনায় ১০ বছর কাটান। আল্লাহ তায়ালা ৬০ বছর বয়সে তাকে ওফাত দান করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর মাথা ও দাড়ির ২০টি চুলও সাদা ছিল না।’ (বুখারি, মুসলিম, মুয়াত্তা মালেক, ইবনে মাজাহ)
যদিও হাদিসে প্রিয়নবী (সা.) এর হায়াতে জিন্দেগি ৬০ বছর উল্লেখ করা হয়েছে, মূলত তিনি ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন এবং মক্কায় ১৩ বছর এবং মদিনায় ১০ বছর অবস্থান করেছিলেন।
> প্রিয়নবী (সা.) এর বর্ণ:
হজরত আনাস ইবনে মালেক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যমাকৃতির ছিলেন। বেশি লম্বা বা বেশি খাঁটোও ছিলেন না। তার দেহ ছিল খুবই আকর্ষণীয়। তাঁর চুল খুব কোকড়ানো কিংবা একেবারেই সোজাও ছিল না। তিনি ছিলেন গৌরবর্ণের। পথ চলার সময় তিনি সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে চলতেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা, শরহুস সিন্না)
> বিশ্বনবী (সা.) এর আকৃতি:
হজরত বারা ইবনে আজেব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যমাকৃতির ছিলেন। তাঁর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী অংশ ছিল তুলনামূলক প্রশস্ত। তাঁর ঘন চুলগুলো কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল। তাঁর দেহে লাল লুঙ্গি ও লাল চাদর শোভা পেত। আমি তাঁর তুলনায় সুদর্শন কাউকে দেখিনি।’ (বুখারি, মুসলিম, নাসাঈ) হাদিসে উল্লেখিত লাল রং বলতে লাল বর্ণের ডোরাকাটা অনুজ্জ্বল কাপড়কে বুঝানো হয়েছে।
> প্রিয়নবী (সা.) এর কাঁধের বর্ণনা:
হজরত বারা ইবনে আজেব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল বিশিষ্ট লাল চাদর ও লাল লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে সুদর্শন কাউকে দেখিনি। তার কেশগুচ্ছু ছিল কাঁধ বরাবর। তার দু’কাধের মধ্যবর্তী স্থান অন্যদের তুলনায় কিছুটা প্রশস্ত ছিল। তিনি অধিক খাটো কিংবা অধিক দীর্ঘাকৃতির ছিলেন না।’ (মুসলিম মুসনাদ আহমাদ)
> বিশ্বনবী (সা.) হাত-পা-তালু ও আঙ্গুলসমূহের বর্ণনা:
হজরত আলি ইবনে আবু তালিব রাদিয়াল্লাহর আনুহু বর্ণনা করেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি দীর্ঘ এবং বেশি খাটো ছিলেন না। তাঁর উভয় হাত ও পায়ের তালু এবং আঙুলসমূহ ছিল মাংসল।
তাঁর মাথা ছিল কিছুটা বড় এবং হাত ও পায়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। বুক থেকে নাভি পর্যন্ত পশমের একটি সরু রেখা প্রলম্বিত ছিল। (তিনি) যখন পথ চলতেন মনে হতো যেন কোনা উঁচু স্থান থেকে নিচে অবতরণ করছেন।
বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর আগে কিংবা পরে আমি তাঁর মতো (অনুপম আকর্ষনীয়) আর কাউকে দেখিনি।’ (মুসনাদে আহমদ, মুসতাদরেকে হামেক, ইবনে হিব্বান)
> প্রিয়নবী (সা.) মুখ-চোখ ও গোড়ালির বর্ণনা:
হজরত জাবির ইবনে সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ছিল প্রশস্ত। চোখের শুভ্রতার মাঝে কিছু লালিমা ছিল। পায়ের গোড়ালি স্বল্প মাংসল ছিল।
শুভা রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘ আমি সিমাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহিকে বললাম, ‘জলিউল ফাহমি’ কী? তিনি বললেন, বড় মুখগহ্বর বিশিষ্ট।
আমি আবার বললাম, আশকালুল আইন কী? তিনি বললেন, ডাগর চোখ বিশিষ্ট। আমি বললমা, মানহুসুল আক্বিব কী? তিনি বললেন, চিকন গোড়ালী বিশিষ্ট।
> বিশ্বনবী (সা.) এর তুলনা:
হজরত জাবির ইবনে সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি একবার পূর্ণিমার রাতের স্নিগ্ধ আলোতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লাল চাদর ও লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় দেখলাম।
তখন আমি একবার তার দিকে ও একবার চাঁদের দিকে তাকাতে থাকলাম। মনে হলো তিনি আমার কাছে পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও অধিকতর চমৎকার।’ (মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত)
অন্য বর্ণনায় হজরত আবু ইসহাক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘একবার বারা ইবনে আজেবকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেহারা কি তরবারির ন্যায় ছিল। তিনি বললেন, না বরং তিনি ছিলেন চাঁদের মতো।’ (বুখারি, মুসনাদে আহমদ, দারেমি, ইবনে হিব্বান)
> প্রিয়নবী (সা.) এর শুভ্রতার বর্ণনা:
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুভ্রতায় ছিলেন রৌপ্যের ন্যায় এবং তাঁর চুলগুলো ছিল কিছুটা কোকড়ানো।’ (জামেউস সগির, সিলসিলা)
> প্রিয়নবী (সা.) এর সাদৃশ্যতা:
হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ বর্ণনা করেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার কাছে নবিগণকে পেশ করা হয়। মুসা আলাইহিস সালামের মধ্যে বিভিন্ন লোকের সাদৃশ্য বিদ্যমান ছিল। তিনি যেন শানুয়াহ গোত্রের লোক। আমি ঈসা ইবনে মরিয়মকে উরওয়া ইবনে মাসঊদের সাদৃশ্যপূর্ণ দেখতে পাই।
অতঃপর আমি হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে দেখতে পাই এবং তাঁকে পাই তোমাদের সঙ্গীর সঙ্গে সর্বাধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। তোমাদের সঙ্গী বলে তিনি নিজেকে বুঝিয়েছেন। আর জিবরিলকে হজরত দাহিয়াতুল কালবি এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ দেখতে পাই। (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ, ইবনে হিব্বান, মিশকাত)
পরিশেষে… হজরত আবু তুফায়েল রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি। তবে তাঁকে যারা দেখেছেন তাঁদের মধ্যে আমি ছাড়া কেউ ভূপৃষ্ঠে বেঁচে নেই। (বর্ণনাকারী বললেন) আমি বললাম আপনি আমার কাছে তাঁর বিবরণ পেশ করুন। তিনি বললেন, প্রিয়নবী ছিলেন, শুভ্রকায় ও লাবণ্যময় সুসামঞ্জস্যপূর্ণ।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ, ইবনে হিব্বান, মিশকাত)
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আকৃতিগত বর্ণনায় আশেকে রাসূল তাঁকে ফিরে খোঁজে অন্তর দিয়ে। কামনা করে স্বপ্নযোগে প্রিয়নবী (সা.) একান্ত দিদার। যে দিদারে তৃপ্ত হবে নবী প্রেমিকদের মন।
মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মাদির অন্তরে তাঁর জেয়ারত লাভের স্পৃহাকে বৃদ্ধি করে দিন। আল্লাহুম্মা আমিন।
- হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী কাঠের খেলনা
- সৌন্দর্য ধরে রাখতে নজর দিন সঠিক খাদ্যাভ্যাসে
- ১৪৯১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ ৩ মাদককারবারী গ্রেফতার
- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবি বেরোবি ছাত্রলীগের
- রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত
- দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপের মধ্যে আছি: ওবায়দুল কাদের
- প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
- হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে
- চাকরিতে প্রবেশে বয়সের বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- ‘অভিবাসন নিয়ে অপতথ্য রোধে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইতালি’
- ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব
- অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ১৪ দিনে হিটস্ট্রোকে ১৫ মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
- ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে’
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস পালন
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- ছাত্রনেতাদের শৈশবের ঈদ স্মৃতিচরণ
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- পুত্রবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ