• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অসহায় মানুষকে খাবার দিচ্ছে ডাকপিয়ন!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২০  

এখন সময় যাচ্ছে করোনায়। কেউ আর বাইরে নেই। পাড়া বা মহল্লায় জম্পেশ আড্ডায় থাকতেও বারণ করেছে সরকার। তাই বাধ্য হয়ে ঘরবন্দি মানুষজন। বলা যায় বাংলাদেশের মানুষও এক প্রকার কোয়ারেইন্টানে এখন। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত আর শ্রমজীবীদের উপার্জনের পথ এখন বন্ধ। সমাজের এমন সব মানুষদের জন্য সেজেছেন ডাকপিয়ন। 

আর কোয়ারেইন্টানের এই সময়টাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার নতুন ট্রেন্ড শুরু করেছে এর ব্যবহারকারীরা। তবে সাধারণত নানা পোজে ছবি তুলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ এই ট্রেন্ড। এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার ট্রেন্ডে সামিল হলেন চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী বায়েজিদ সুমনও। কিন্তু তিনি ছুড়ে দিলেন গতানুগতিক ধারার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা এক চ্যালেঞ্জ। তার চ্যালেঞ্জটা ছিলো করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে  চট্টগ্রাম শহরে উপার্জন বন্ধ এমন ত্রিশটি পরিবারকে অন্তত দশদিনের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার কিনে দেয়া। এবং তা করা হবে পরিচয় গোপন রেখে।

কথামতে কাজ শুরু করেছেন তিনি। শুরুতে পরিচিত কয়েকজনের মাধ্যমে খুঁজে নেন রোজগার বন্ধ এবং লোকলজ্জার ভয়ে কারো কাছে হাত পাতে না এমন ত্রিশটি পরিবার। তারপর নিজের বাইকে চড়ে প্রতিটা পরিবারের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে পৌঁছে দেন একটি করে পার্সেল। পার্সেলে থাকে অন্তত দশদিনের বাজার-সদাই। আর পরিবারগুলোর কাছে নিজেকে পরিচয় দেন কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী কিংবা ডাকপিয়ন হিসেবে। বলেন কেউ একজন তাদের জন্য এই পার্সেলটি পাঠিয়েছেন, তবে প্রেরকের ব্যাপারে বিস্তারিত জানেন না তিনি। 

বায়েজিদ সুমন পথশিশুদের স্কুল ‘নগরফুল’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। চট্টগ্রামের পথশিশু এবং ছিন্নমূল শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে থাকে নগরফুল। করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় নগরফুলের পক্ষ থেকেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বায়েজিদ সুমনের নেতৃত্বে নগরফুল এরইমধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন গণপরিবহণগুলোতে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজও করছে নগরফুল।