• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

আবরার হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে বুয়েটের ২৫ ছাত্রের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তাদের সবাইকেই চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে। সাক্ষী হয়েছেন ৩০ জন।

বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দুপুরেই মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট পাঠানো হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, চার্জশিট আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, আবরার হত্যায় সরাসরি অংশে নেয় ১১ জন। বাকি ১৪ জন হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত রয়েছে।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ, আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও তদন্তে পাওয়া তথ্যানুযায়ী চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শিবিরকর্মী সন্দেহে আবরারকে খুন করা হয়েছে। আসামিরা ওই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন।

চার্জশিটে যে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১ আসামি কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৬ জন এবং এজাহারের বাইরে পাঁচজন আসামি রয়েছেন। এজাহারভুক্ত তিন আসামি এখনো পলাতক।

জানা গেছে, এত বড় ঘটনায় চার্জশিট দেয়ার আগে তদন্ত তদারকি কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর অনুমতি নিয়েছিলেন। চার্জশিটের সঙ্গে আলামত হিসেবে আবরারের রক্তমাখা জামা-কাপড়, মেসেঞ্জারে আসামিদের লিখিত যোগাযোগ, প্রযুক্তিগত অন্যান্য যোগাযোগ, শেরেবাংলা হলের সিসিটিভি ফুটেজসহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামতও জমা দেয়া হয়েছে। কার কী অপরাধ, কতটুকু অপরাধ- তা চার্জশিটে উল্লেখ করা হচ্ছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামি হচ্ছেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মো. মুজাহিদুল, মো. তানভীর আহমেদ, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, মো. আকাশ, শামীম বিল্লাহ, মো. সাদাত, মো. তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, এস এম মাহমুদ সেতু প্রমুখ। তাদের মধ্যে মুন্না, অমিত সাহা, মিজান, রাফাত ও সেতুর নাম এজাহারে ছিল না।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামি মো. জিসান, মোর্শেদ ও এহতেশামুল তানিম এখনো পলাতক।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত আট আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন—নাজমুস সাদাত, ইফতি মোশাররফ, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও মনিরুজ্জামান মনির।

এর আগে, গত ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলে নিজের কক্ষ থেকে আবরারকে ডেকে নিয়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরের দিন তার বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।