• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

আমরা শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের অপেক্ষায়- প্রধানমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ভবিষ্যত প্রজন্মের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল সহযোগিতায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের অপেক্ষায় রয়েছি।

বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘ডিজিটাল সহযোগিতা: ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অ্যাকশন টুডে’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পূর্বে ধারণকৃত ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ মহামারি ডিজিটাল পরিসেবার শক্তিকে উন্মোচিত করেছে এবং ডিজিটাল বিভাজনকেও প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যারই ন্যূনতম ইন্টারনেট প্রবেশগম্যতা নেই। সে শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

বাংলাদেশে তার সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারের চাপের কারণেই বাংলাদেশ ইন্টরনেট প্রযুক্তিতে একটি ব্যাপক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি বলেন, দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৪৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ডিজিটালাইজেশন জনগণকে পরিবর্তন-নির্মাতা হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল কানেকটিভিটির ওপর আমাদের আলোকপাত অর্থনৈতিক বিকাশকে সহজতর করেছে। নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক পরিবর্তনকে অনুঘটক করেছে। এটি এসডিজিগুলোকে বাস্তবায়ন এবং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, যেহেতু আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, কাজেই আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এই রূপান্তরিত যাত্রার কেন্দ্রে রাখতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট উদীয়মান চাকরির বাজার বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল একাডেমি এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে চান।

ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সালেহ ওয়ার্ক জেওয়াদি, জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তনিও গুতেরেস, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর, আলিবাবা গ্রুপের কো-ফাউন্ডার ও জাতিসংঘ মহাসচিবের ডিজিটাল সহযোগিতা সংক্রান্ত উচ্ছ পর্যায়ের প্যানেলের কো-চেয়ার জ্যাক মা, ভার্টি এন্টারপ্রাইজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সুনিল ভার্টি মিত্তাল, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামির পক্ষে সে দেশের আইসিটি মন্ত্রী পাউলা ইনগাবিরে, ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েভের (ডব্লুডব্লুডব্লু) প্রতিষ্ঠাতা টিম বার্নার্স লি, এক্সপ্রাইজ ফাউনোডশনের সিইও অনুশেহ আনসারি, ইউএনডিপি প্রশাসক অচিম স্টেইনার এবং জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপপো গ্রান্ডি অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিউ) মহাসচিব হলিন ঝাও-এর যৌথ আমন্ত্রণে এই ইভেন্টে যোগ দেন।