• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইউএনও`র সহযোগিতায় জয় দাসের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পুরণ হচ্ছে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৯  

মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করে চিকিৎসক হবেন পল্লব কুমার দাস জয়। তারপর ব্রত হবেন মানুষের সেবায়।

এমন স্বপ্ন বুকে নিয়েই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হন। কিশোরগঞ্জ মেডিকেল কলেজের মেধা তালিকায় তার নাম এসেছে অগ্রভাগেই। কিন্তু অভাব-অনটনের কারণে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছিল জয় দাসের। অদম্য মেধা নিয়ে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় থাকলেও ভর্তি হতে পারবেন কিনা; তা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ ছিলনা। মঙ্গলবার রাতে ফলাফল জানার পর বেশ খুশি হয় জয়। কিন্তু সেই সুখানুভূতি হারিয়ে তার চোখে মুখে ফুটে ওঠেছিল দুশ্চিন্তার ছাপ। কারণ ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান হলেও দারিদ্র্যের বাধা অতিক্রম করে মেডিকেলে ভর্তি হওয়াটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছিল তার। ফলে স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছিল।

এমতাবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মনোয়ারুল ইসলাম, স্থানীয় আব্দুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন শাহ, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের পরিচালক মমিনুল ইসলাম ও বেলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাংবাদিক মোরশেদ উল আলম।

দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের দাসপাড়ার অজিদ কুমার দাসের ২য় পুত্র পল্লব কুমার দাস জয় এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। কোনদিন টিউশনি করেননি। কাকা বিনয় কুমার দাসের তত্বাবধানে থেকে পড়াশুনা চালিয়ে আসছিলেন।

জয়ের বাবা অজিদ কুমার দাস দিনে ভ্যান চালাতেন। ভ্যানটি চুরি হয়ে যাওয়ায় উপজেলার হাজীরমোড় নামক একটি বাজারে নৈশ প্রহরী করে সংসার চালান। প্রতিদিন তার আয় মাত্র ১৫০-২০০ টাকা। মাঝে মাঝে কীর্তন বাউল গান করে বেড়ান। এ আয়ে পরিবারের চারজনের সংসার কোনো রকমে চলে।

জয়ের বাবা অজিদ কুমার দাস বলেন, ছেলে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে এতে আমি খুশি। কিন্তু আর্থিক অনটনের সংসার আমার। অনেক কষ্টে ছেলেকে পড়াচ্ছি। মেডিকেলে ভর্তি করাসহ পড়াশোনার ব্যয় বহনের মতো অবস্থা আমার নেই। কীভাবে ছেলেকে কয়েক বছর পড়াব, প্রতিমাসে অত টাকা কোথায় পাব, কিভাবে টাকার জোগান হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ইউএনও স্যারসহ কয়েকজন হিতাকাংখী মোরশেদ স্যারের কথায় ভর্তির টাকার জোগানে সহযোগিতা করেছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।