• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ইটভাটার ধোঁয়ায় সৈয়দপুরে ধানের ক্ষেত পুড়ে যাবার অভিযোগ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৫ মে ২০১৯  

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইটভাটার ধোঁয়ার তাপে প্রায় ১৫০ একর জমির উঠতি ফসল চলতি ইরি-বোরো  মৌসুমের ধানের ক্ষেত পুড়ে গেছে। ধানগুলো লালচে হয়ে শীষ চিটায় পরিণত হয়েছে। বিশাল এলাকাজুড়ে ধানের গাছ দেখা গেলেও সেগুলোতে নেই কোনও শীষে ধানের দানা। কোথাও কোথাও শীষসহ পুরো গাছই পুড়ে সাদা আকার ধারণ করেছে। ফলে ওই এলাকার কৃষকরা এবার সম্পূর্ণরূপে বোরো ফসল থেকে বঞ্চিত হবেন।

উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কাঙ্গালুপাড়ার কৃষক নুর বানূ জানান, ‘অনেক টাকা খরচ করে দুই বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছিলাম। ধানের মোচা আসা মাত্র কিছুদিনের মধ্যে পাশের এমজেডএইচ ব্রান্ডের ইটভাটার ধোঁয়ায় এলাকার সব ক্ষেতের ধান পুড়ে গেছে। আমরা চরমভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছি। সৈয়দপুর কৃষি বিভাগকে প্রায় এক সপ্তাহ আগে জানালেও কোনও ভ্রুক্ষেপ করেনি তারা। বাধ্য হয়ে আমরা গত তিন দিন যাবত ইটভাটা এলাকায় আন্দোলন করছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটা হওয়ার পর থেকে এখানে চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। তাই তারা এখান থেকে ইটভাটার অপসারণ চান। তাছাড়া এবার ধান ক্ষেতগুলোর মোচা আসার পরও ইটভাটায় আগুন দেওয়ায় এতবড় ক্ষতি হলো।

তারা আরও জানান, কামারপুকুর ইউনিয়নে প্রায় ২২টির মতো ইটভাটা রয়েছে। কৃষি বিভাগ এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভাটা মালিকরা ফলনের আগ  মূহূর্তেও  ইটভাটায় আগুন দিয়ে থাকে। এভাবে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।

মেসার্স জিকরুল হক ট্রেডার্স ইটভাটার মালিক হারুন হক বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ২২ বছর যাবত এখানে ইটভাটা চালিয়ে আসছি। কোনও দিন এমন ঘটনা ঘটেনি। ধানগুলো অতিরিক্ত প্রাকৃতিক তাপমাত্রা ও খড়ার কারণে পুড়ে গেছে বা অন্য কোনও সমস্যা থাকতে পারে। ইটভাটার ধোঁয়ার কারণে হয়নি। তাছাড়া ভাটার পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে কিছুই হয়নি। ভাটা থেকে অনেক দূরের ক্ষেতে কীভাবে এমন হলো বিষয়টি কৃষি বিভাগের আরও খতিয়ে দেখা দরকার।’

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোমায়রা মন্ডল জানান, ‘সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।  বিষয়টি দেখে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত টিম রিপোর্ট দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে  ধারণা করা হচ্ছে, ইটভাটার ধোয়ার কারণেই ধানগুলো পুড়ে চিটায় পরিণত হয়েছে।’