ইনজেকশন দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ, ৬ মাসের জেল দিলো র‍্যাব

রাজধানীর সর্ববৃহৎ পশুর হাট গাবতলি পশু হাটে ইনজেকশন দিয়ে গরু মোটাতাজা করার অপরাধে একজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাবতলি পশু হাটে অভিযান চালান র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম এবং প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের ঢাকা জেলার পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক তালুকদার।

অভিযান শেষে সারওয়ার আলম বলেন, ‘আজকে র‌্যাব-৪ এবং প্রানী সম্পদ অধিদফতরের যৌথ সহযোগিতায় রাজধানীর সবচেয়ে বড় গবাদী পশুর হাট গাবতলি হাটে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে স্ট্যারোট ইনজেকশন বা আর্টিফিসিয়াল ইনজেকশন ব্যবহার করে গরু ফোলানোর সময় একজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ইনজেকশন দেয়া গরু আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কোরবানির পবিত্র গরুকে কোনোভাবেই অপবিত্র করতে দেয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা যখন গরুর হাট পরিদর্শন করেছি তখন আমাদের সঙ্গে থাকা বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন বেশির ভাগ গরু ভালো আছে। দু’একটি গরুর সমস্যা পেয়েছি। সমস্যা দেখে সেই মোতাবেক দিক-নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ কেউ করবে না।’

সারোয়ার আলম বলেন, ‘আমরা সবাই জানি কোরবানি পশু একটি পবিত্র পশু, এটিকে দয়া করে এ জাতীয় ইনজেকশন দিয়ে অপবিত্র করবেন না। একই সঙ্গে গরু বিক্রি করতে এসে এমন শাস্তির কবলে পরবেন না। আমরা চাই সবাই পবিত্র পশু নিয়ে আসবে এবং পবিত্র ভাবেই বিক্রি করে বাড়ি ফিরে যাবেন।’

ঢাকা জেলার পশু সম্পদ কর্মকর্তা, ডা. মো. ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘পশুকে এই ইনজেকশন দিলে পশুর মাংসে পানি জমে। যেহেতু প্রাণীর শরীরে পানি কিডনি দিয়ে ফিল্টার হয়ে শরীরে যায়। এই ইনজেকশনের ফলে কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায়, হার্ট ঠিক মতো কাজ করে না, লিভার কাজ করে না। ফলে গরু হাপাতে থাকে। এভাবে এক সময় গরুটি মারা যায়।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের পশু কিনে কোরবানি দেয়ার পরে আমরা যখন খাবো তখন আমাদের শরীরেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া করবে। আমাদের শরীরেও কিডনি ড্যামেজসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।’