• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

এবার ধর্ষকের সঙ্গে শিশু শিক্ষার্থীকে বিয়ে দিলেন এসআই!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

লালমনিরহাটে এক প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে সদর থানা পুলিশ।

লালমনিরহাট থানা পুলিশ জানায়,  বুধবার গভীর রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় ধর্ষনের শিকার স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে প্রাইভেট শিক্ষক শাহীন আলমসহ চারজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার(১৯ সেপ্টেম্ব) ভোর ৫টার দিকে শাহীন আলমকে গ্রেফতার করে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডলের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।    

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, বুধবার গভীর রাতে অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক শাহীন আলমসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ওই শিক্ষার্থীর বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার তিস্তা রতিপর এলাকায় আত্মগোপন করার চেষ্টাকালে প্রধান আসামী শাহীন আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করে বলেছেন, লালমনিরহাট সদর থানার এসআই মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষক শাহীন আলম ও ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর বুধবারেই তাকে হাতীবান্ধা সার্কেল অফিসে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় লালমনিরহাট এ সার্কেলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলামকে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর এ সার্কেলের দায়িত্বে থাকা এএসপি এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, এসআই মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার চেষ্টা করছি।    

জানতে চাইলে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, ইতোমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মুল আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এসআই মাইনুলের বিরুদ্ধে বুধবার অভিযোগ পাওয়ার পরই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তে ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত আড়াই মাস আগে ২৫ জুলাই ওই শিক্ষার্থীকে লালমনিরহাটের একটি স্থানীয় ক্লিনিকে গর্ভপাত করানো হয়েছে বলে মেয়ের বাবা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে আরো জানা যায়, ১১ আগষ্ট থানায় মেয়ের বাবা একটি অভিযোগ দেন। এরপর ২৩ আগষ্ট শাহীন আলম ও ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়। এর আগে প্রাইভেট শিক্ষক শাহীন আলমের  নিকট কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ ওই সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রীও প্রাইভেট পড়ত।