• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

এমপিওভুক্তিতে অগ্রাধিকার পাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯  

এবার এমপিও ঘোষণায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, হাওর, পাহাড় ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবার এমপিও দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এমপিও নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। বুধবার ঘোষণা করবেন।

এবার কতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও পাচ্ছে সে ব্যাপারে সঠিক কোনো সংখ্যা জানাননি শিক্ষামন্ত্রী। তবে দীপু মনির ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার ৩ হাজারের কাছাকাছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও’র তালিকায় রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, এবার ২ হাজার ৭৬৮টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাকে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। এমপিওর জন্য অনুমোদন পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় এক হাজার ৬৫১টি স্কুল ও কলেজ আছে। মাদরাসা আছে ৫৫৭টি, ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান ১৭৭টি, কৃষি প্রতিষ্ঠান ৬২টি এবং এইচএসসি বিএম প্রতিষ্ঠান ২৮৩টি।

২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ীই এবারের এই এমপিও দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ ২০১০ সালের জুনে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।

এদিকে এমপিওভুক্তির এ তালিকা প্রকাশের আগেই নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা এটি মানেন না বলে জানিয়েছেন। যে নীতিমালা অনুযায়ী এই এমপিও চূড়ান্ত করা হয়েছে তাকে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

নীতিমালা সংশোধন করার দাবি জানিয়ে শিক্ষক নেতারা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়ারও দাবি জানান। এছাড়াও এই বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান বলেও জানান তারা।

শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে শিক্ষকতা করতে হচ্ছে। আমাদের এই কষ্টের কথা কর্তৃপক্ষ জানেন কিন্তু তারা উদাসীন। কিছু প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দিয়ে বাকিদের কেনো বঞ্চিত রাখা হবে? স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে এমপিওভুক্তি না দিলে আমাদের আমরণ অনশন চলবে।

শিক্ষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায় বলেন, সরকারের সামর্থ্য নেই এই কথাটা সত্য নয়। আর্থিক দিক থেকে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়েছে। অর্ধেক প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়াটা অনুচিত হবে। শিক্ষকদেরকে ক্ষুধার্ত রাখার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী এ বছরের এমপিওভুক্তির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তি করার সুযোগ নেই। শিক্ষকরা যেহেতু দাবি করছেন সেক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা পরিবর্তন করা হবে। নতুন নীতিমালায় এখন থেকে প্রতিবছর এমপিওভুক্তি করা হবে।