• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনাভাইরাস: কোভিডের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আসলে কী?

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২১  

ভারতে শনাক্ত করোনাভাইরাসের একটি ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন এখন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন।

তবে এটা এখনও জানা যায়নি যে কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টটি আসলে কতটা ছড়িয়ে পড়েছে, এবং ভারতে এখন সংক্রমণের যে ভয়াবহ 'দ্বিতীয় ঢেউ' চলছে তার জন্য নতুন শনাক্ত এই করোনাভাইরাসটি কতটা দায়ী।

ভারত ভ্যারিয়েন্ট ঠিক কী?

যে কোনো ভাইরাসই ক্রমাগত নিজের ভেতরে নিজেই মিউটেশন ঘটাতে করতে থাকে অর্থাৎ নিজেকে বদলাতে থাকে, এবং তার ফলে একই ভাইরাসের নানা ধরন তৈরি হয়।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন মাথাব্যথার প্রয়োজন হয়না, কারণ নতুন সৃষ্ট অনেক ভ্যারিয়েন্ট মূল ভাইরাসের চেয়ে দুর্বল এবং কম ক্ষতিকর হয়।

কিন্তু কিছু ভ্যারিয়েন্ট আবার অধিকতর ছোঁয়াচে হয়ে ওঠে - যার ফলে টিকা দিয়ে একে কাবু করা দুরূহ হয়ে পড়ে।

করোনাভাইরাসের ভারত ভ্যারিয়েন্ট - যেটার বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭ - প্রথম ভারতে শনাক্ত হয় অক্টোবর মাসে।

কতটা ছড়িয়েছে এটি?

কত দ্রুত এবং কতদূর নতুন ধরনের এই ভাইরাসটি ভারতে ছড়িয়েছে তার সুনির্দিষ্ট ধারণা পেতে যে মাত্রায় নমুনা পরীক্ষা করতে হয় তা এখনও ভারতে সম্ভব নয়।

পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩৬১টি নমুনা পরীক্ষায় ২২০টির মধ্যে নতুন ধরনের এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়।

ওদিকে, সংক্রামক রোগের তথ্য সংগ্রহ এবং আদান-প্রদানে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থা জিআইসএইড-এর ডাটাবেজ অনুসারে, এরই মধ্যে কমপক্ষে ২১টি দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয়েছে।

যাতায়াতের কারণে ব্রিটেনেও করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি পাওয়া গেছে। ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে ১০৩ জন কোভিড রোগীর দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে, ভারত থেকে ব্রিটেনে ভ্রমণ প্রায় নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।

ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ এখন করোনাভাইরাসের যে সব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গবেষণা করছে সেই তালিকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে ঢোকানো হয়েছে। তবে এখনও তারা বলেনি যে এই ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে “বিশেষ উদ্বেগের“ কারণ হয়েছে।