• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে লবণ কাণ্ডে মাইকিংসহ মাঠে পুলিশ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯  

কুড়িগ্রামে মঙ্গলবার বিকেল থেকে গুজবের কারণে দ্বিগুণ মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে লবণের দাম। হাট-বাজারগুলোতে ভীড় করে লোকজন লবণ কিনতে শুরু করলে পেঁয়াজের মত হু-হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে লবণের মূল্য। খোলা ১৬ টাকার কেজি দরের লবণ সদরের যাত্রাপুর ও কাঁঠালবাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা চড়ামূল্যে বিক্রি হয়েছে। 

অপরদিকে ৩৮ টাকার প্যাকেটজাত আয়োডিনযুক্ত লবণ বিভিন্ন জায়গায় ৪০ থেকে ৭০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়। একেকজন ভোক্তা একাধিক প্যাকেট লবণ কিনতে গিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। কেউ ব্যাগ নিয়ে, কেউ বস্তা নিয়ে দোকানগুলোতে ভীড় জমান। এই ফাঁকে মূল্য বাড়িয়ে দেয় সব ব্যবসায়ীরা। তবে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে লবণের মূল্য আগের অবস্থায় ফিরে আসলে জনমনে কিছুটা স্বস্থি নেমে আসে। এদিকে গুজবের খবর পাওয়ার সাথে সাথে বিকেলেই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পুলিশ সুপার পদোন্নতী প্রাপ্ত) মেনহাজুল আলম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহফুজার রহমানসহ একাধিক কর্মকর্তা শহরের পৌরবাজার, জিয়াবাজার, খলিলগঞ্জ, ত্রিমোহণী ও কাঁঠালবাড়ীবাজারে তাৎক্ষণিক মনিটরিং চালান। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাইকিং করে প্রচারণা চালায় পুলিশ প্রশাসন। সাধারণ মানুষ এতে শান্ত হয়। লাইন ধরে লবণ কেনা বন্ধ হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, দেশে লবণের চাহিদা রয়েছে প্রায় ১৬ লক্ষ মেট্রিক টন। সেখানে মজুদ রয়েছে ১৮ লক্ষ মেট্রিকটন। আয়োডিনযুক্ত প্যাকেটজাত লবণ সরকার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। কোন খোলা লবণ বিক্রি বা খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ্যজ্ঞা রয়েছে। খোলা লবণ শুধুমাত্র চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে মানভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে লবণ বিক্রি হচ্ছে বলে এই কর্মকর্তা জানান।

গুজব নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন জানান, সদরের সবকটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যানরা নির্দেশনা অনুযায়ী গুজব ঠেকাতে বাজারগুলোতে মাইকিং করে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে যে গুজব তৈরী হয়েছিল তা এখন নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম জানান, গুজব সৃষ্টি করে ব্যবসায়ীরা যাতে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে। গুজব ঠেকাতে সকলকেই সচেতন হতে হবে এবং একযোগে এদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। এরপরও কেউ চড়ামূল্যে লবণ বিক্রি করছে জানলে পুলিশকে তথ্য দিন আমরা ব্যবস্থা নিব।