• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে মিশন বাড়াচ্ছে সরকার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

করোনা পরবর্তী বিশ্বে কূটনৈতিক কার্যক্রমের পরিধি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে ঢাকা। দুনিয়ার যেসব দেশ বা অঞ্চলে এখনো বাংলাদেশের মিশন বা উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব নেই সেসব এলাকায় প্রকৃত প্রতিনিধির  মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ওই সব অঞ্চলে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের স্বার্থ-সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি বহুমাত্রিক বিশ্বে ক্রমঅগ্রসরমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। 

জানা যায়, নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন, আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন, আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেস, চীনের গুয়াংজো, ব্রাজিলের সাওপাওলো এবং জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে নতুন মিশন স্থাপনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া চীনের সাংহাই, আজারবাইজান, কম্বোডিয়া, লাওস, কাজাখস্তান, উগান্ডা, তিউনেশিয়া, তাঞ্জানিয়া, ঘানা, স্কটল্যান্ড, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, ইউক্রেন, মেলবোর্ন, চিলিতেও মিশন খুলবে সরকার। ভারতের চেন্নাই ও রুমানিয়ার বুখারেস্টেও সম্পন্ন হয়েছে মিশন চালুর সব প্রক্রিয়া।

চীনের বিশাল ভৌগোলিক আয়তন তথা ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং সর্বোপরি কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় গুয়াংজোতে মিশন খুলছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সঙ্গে আমাদের পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মোট আমদানির ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে চায়না পণ্যে। আয়ারল্যান্ডেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে। সেই সঙ্গে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশটিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বাড়ছে। দুদেশের মধ্যে ওষুধশিল্প ও চিকিৎসাসেবা, পোশাকশিল্প, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রবাসীদের স্বার্থ সুরক্ষায় সেখানে নতুন মিশন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। আর্জেন্টিনাতেও বাংলাদেশিদের উপস্থিতি ও ব্যবসা বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পণ্য ও শ্রমবাজারের ক্ষেত্রে বিশাল সম্ভাবনাময় এ দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপিত হলে তা তৈরি পোশাক ও শ্রমশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বুয়েনোস আইরেসেও মিশন খোলা হচ্ছে। ওই শহরে বর্তমানে কমবেশি ৯০টি দেশের কূটনৈতিক মিশন রয়েছে।

এদিকে আমদানিনির্ভর হওয়ায় বিশ্বের ২০২টি দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। বিশালসংখ্যক দেশ হলেও আমদানিতে শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে চীন, ভারত, জাপান, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, জার্মানি, কোরিয়া, ব্রিটেন থেকেই বেশি পণ্য আনা হয়। অন্যদিকে রপ্তানিতে আমেরিকা, স্পেন, ব্রিটেন ও ইউরোপের দেশই ভরসা। যদিও রপ্তানির জন্য ১৮৮টি দেশের সঙ্গে নিয়মিত লেনদেন করতে হয়। এর বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে রয়েছে আমাদের শ্রমবাজারের সম্পর্ক।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রস্তাবিত ৬ মিশনের কার্যক্রম শুরুর টার্গেট নির্ধারিত হয়েছে। তবে লক্ষ্য বাস্তবায়নের বিষয়টি একান্তভাবে নির্ভর করছে বিদ্যমান বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় তার ওপর। এরই মধ্যে দুনিয়ার দেশে দেশে কোভিডের সেকেন্ড ওয়েব বা দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।