• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কে হচ্ছেন বিরামপুরের পৌরপিতা?

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২১  

১৬ জানুয়ারি দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভা নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার ও সাধারণ জনগণের মনে চলছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। কে হচ্ছেন বিরামপুরের পৌরপিতা- এমন প্রশ্ন সাধারণ ভোটারদের মনে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে সচেতন ভোটারা তাদের আগামীর পৌরপিতা নির্ধারণে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। অফিসপাড়া থেকে শুরু করে মহল্লার চায়ের দোকানে চায়ের কাপের গরম ধোয়ায় আলোচনা-সমালোচনায় অঙ্ক কষছেন ভোটাররা।

সচেতন ভোটাররা বলছেন, বর্তমান মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুলকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক পৌর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আক্কাস আলীকে (নৌকা প্রতীক) মনোনয়ন দেয়া ও বিএনপি থেকে হুমায়ন কবির (ধানের শীষ প্রতীক) মনোনীত প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র আজাদুল ইসলাম আজাদ (মোবাইল ফোন প্রতীক) নির্বাচনে অংশ নেয়ায় এবারের সব নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে বসেছে।

এলাকার সাধারণ ভোটারদের দাবি, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে শেষ সময়ে বুঝাপড়া না হলে নির্বাচনী গণেশ পাল্টে যাবে। আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে জনসমর্থন ও জনপ্রিয়তায় এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আক্কাস আলী। নৌকা প্রতীক নিয়ে মিটিং-মিছিলে এগিয়ে রয়েছেন।

পোস্টার-ব্যানার টানানো ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি গভীররাত পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়িবাড়ি গিয়ে নিজের জন্য ভোটপ্রার্থনা করছেন এবং মেয়র নির্বাচিত হলে কী কী উন্নয়ন করবেন তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির ফিরিস্তি যতই লম্বা হোক না কেন বিরামপুর পৌরসভা থেকে অতীত ও বর্তমানে কোন মেয়রের সময়ে কী পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে এবং কোন মেয়রের নিকট থেকে পৌরবাসী কতখানি নাগরিকসেবা পেয়েছেন তা ঠিকই মনে রেখেছেন সচেতনমহল। আসন্ন পৌর নির্বাচনে ভোটাররা যোগ্য প্রার্থীকেই পৌরপিতার আসনে বসাবেন- এ কথা এখন নতুন প্রজন্মের মুখেমুখে।

তবে বিগত সময়ের পৌরমেয়ররা রাজনৈতিক সুযোগসুবিধা পাওয়ার পরও জনগণের নিকট দেয়া উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ঠিকমত বাস্তবায়ন করতে না পারায় সচেতন ভোটাররা নতুন প্রার্থীকে পৌরপিতা হিসেবে দেখতে নতুন ছক আঁকছেন। আর এ বিষয়টি আঁচ করতে পেরে অনেক প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী মাঠে গুজব ছড়িয়ে পরিবেশ ঘোলা করার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করছেন সচেতনমহলের।