• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জলঢাকায় শিক্ষার্থীরা ও মাদকসেবীরা ঝুঁকছে বিকল্প নেশায়

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

অতিরিক্ত পুলিশি তৎপরতায় এখন নেশার ধরন পাল্টে নিয়েছে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবীরা। ফেনসিডিলের পরিবর্তে শামপ্যাক, ঝাঁকি আর মিক্সার দিয়ে চলছে মাদক সেবন। এসব নেশা হাতের নাগালে পাওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই নেশার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে। নিকটবর্তী ফার্মেসি আর ওষুধের দোকানে ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র ছাড়াই দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এসব উপকরণ। এখন মাদকসেবীদের চলাচল ও ভিড় বেড়েছে ফার্মেসিগুলোতে। এসব দোকানে কম মূল্যে ও হাতের নাগালের মধ্যে সহজে মাদকাসক্তরা পাচ্ছে নেশা জাতীয় দ্রব্য। এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জলঢাকা থানা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জলঢাকা থানায় শতাধিক মাদক মামলা হয়েছে। নামীয় আসামি প্রায় ২০০। এতে গ্রেফতার হয়েছে শতাধিক। গত ১ জুন সবচেয়ে বড় চালান ৬০০ পিস ইয়াবাসহ বড়ঘাট পেট্রোলপাম্প এলাকায় গ্রেফতার হয় পার্শ্ববর্তী গঙ্গাচড়া উপজেলার কিশামত শেরপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম ও ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার খোলাবাড়ী গ্রামের ইসমাইল হোসেন। 

এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুল হক সেনিন বলেন, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই ভয়াবহ। এমন আসক্তদের দাম্পত্য জীবন অসুখী হয়। পরবর্তী সময়ে শরীরে পানি জমবে, কিডনি নষ্টসহ নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হবে এবং যার পরিণাম অকাল মৃত্যু।