• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝড়ো সেঞ্চুরি করেও জিততে পারলেন না গেইল

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বয়স প্রায় ৪০ ছুঁই ছুঁই। এই বয়সেও যে তার ব্যাটে ঝাঁজ ঝাঁজ রয়েছে, তা আরো একবার দেখিয়ে দিলেন ক্রিস গেইল। মঙ্গলবার রাতে সিপিএলে ৬২ বল খেলে ১০ ছক্কায় ১১৬ রান করেছিলেন ক্রিস গেইল। তার দল জ্যামাইকা তালাওয়াহস ৪ উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৪১ রান।

অথচ, জ্যামাইকার এই ২৪১ রানও যথেষ্ট হয়নি জয় পাওয়ার জন্য। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের ৭ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ফলে বিফলে গেলো গেইলের ঝড়ো সেঞ্চুরি।

সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে জ্যামাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন ক্রিস গেইল। শুরুতেই গ্লেন ফিলিপসকে তুলে নিলেও চাডউইক ওয়ালটনকে সঙ্গে নিয়ে ১৬২ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন গেইল।

চাডউইক ওয়ালটন ৩৬ বলে খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। ৮টি ছক্কার সঙ্গে ৩টি বাউন্ডার মারেন তিনি। ১০ ছক্কা আর ৭ বাউন্ডারিতে ৬২ বলে ১১৬ রান করে আউট হন গেইল। তিনি যখন আউট হন, ১৯.১ ওভারে তখন জ্যামাইকার রান ২২৮। এরপর বাকি ৫ বলে আরও ১৩ রান তোলে আন্দ্রে রাসেল এবং স্প্রিঙ্গার।

২৪২ রানের বিশাল লক্ষ্য দেখে মোটেও ভয় পায়নি সেন্ট কিটস। কেউ সেঞ্চুরি না করলেও টপ অর্ডারে প্রায় প্রতিটি ব্যাটসম্যানই ঝড় তুলেছেন। ৮ বাউন্ডারি আর তিন ছক্কায় ৪০ বলে ৭১ রান করে আউট হন ওপেনার ডেভন থমাস। মাত্র ১৮ বলে তিন বাউন্ডারি আর ছয় ছক্কায় ৫৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার এভিন লুইস।

এরপর ২০ বলে ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন লরি ইভান্স। ইনিংসে দুটি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকান তিনি। দুই চার ও চার ছক্কায় ১৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচটা শেষ করে এসেছেন ফ্যাবিয়েন অ্যালেন। শামারাহ ব্রুক্স ১৫ বলে ২৭ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সেন্ট কিটস।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। ছক্কা বৃষ্টির এই ম্যাচের চতুর্থ সর্বোচ্চ সংগ্রাহক লুইস পেয়েছেন সেরার পুরস্কার! রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে দেখেছে ৩৭টি ছক্কা। এর মধ্যে ২১টি জ্যামাইকার এবং ১৬টি সেন্ট কিটসের।