• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

টিউশনির টাকায় গুজবের বিরুদ্ধে ৩১ দিন হাঁটলেন সাইফুল

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৯  

গুজবের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পৌঁছেছেন সাইফুল ইসলাম। গত ২১ জুলাই সকাল ৬টায় সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তেঁতুলতলা থেকে হেঁটে রওনা দেন তিনি।

প্রতিবাদের ভাষা কখনো কখনো ব্যতিক্রম হয়। আবার কিছু সচেতনতামূলক কাজ ব্যক্তি উদ্যোগেও হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে, এক হাতে প্ল্যাকার্ড আরেক হাতে মাইক নিয়ে তিনি যাত্রা শুরু করেন।

পুরো নাম সাইফুল ইসলাম শান্তি। বাড়ি দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমহার গ্রামে। সেখান থেকেই তিনি হেঁটে এসেছেন দেশের দক্ষিণে টেকনাফে। উদ্দেশ্য দেশের মানুষকে সচেতন করা। সাইফুল দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২১ জুলাই সকালে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তেঁতুলতলা থেকে পায়ে হেঁটে টেকনাফের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন তিনি। উদ্দেশ্যে বরগুনার রিফাত হত্যা ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদ এবং গুজব-গণপিটুণির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করা।

প্রথম দিন তিনি তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের চৌরাস্তার মোড় থেকে হেঁটে ৩৮ কিলোমিটার দূরের পঞ্চগড় জেলা শহরে পৌঁছেন। এরপর পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে বগুড়া হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করেন সাইফুল। তারপর সাভারের গাবতলী দিয়ে নারায়ণগঞ্জ হয়ে কুমিল্লা মহাসড়ক ধরে আসেন চট্টগ্রাম মহানগরে। চট্টগ্রাম থেকে পদযাত্রার ৩১তম দিনে মঙ্গলবার দুপুরে পৌঁছেন টেকনাফ শহরে।

তরুণের অভিনব এই প্রচারকাজ শুনতে জুটে যান পথচারীরা। তাদের উদ্দেশ্যে সাইফুল বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কিছু মানুষ লাভবান হলেও দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে সবাইকে তৎপর হতে হবে। পাশাপাশি ছেলেধরা গুজব নিয়ে দেশে যে গণপিটুনি চলছিল, তা নিয়েও সবাইকে সচেতন হতে হবে। এই অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াতে হবে।

সাইফুলের বক্তব্য শুনে টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইন বলেন, জনসচেতনমূলক কাজে এখন তেমন কাউকে পাওয়া যায় না। কমবেশি সবাই ব্যস্ত আখের গোছানো নিয়ে।

সাইফুল জানান, তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পৌঁছাতে তাকে ১৭টি জেলার আনুমানিক এক হাজার কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়েছে। প্রতিদিন তিনি গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন। কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে হেঁটে ৩১ দিনের পদযাত্রায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনি টেকনাফ জিরো কিলোমিটার পৌঁছে তার পদযাত্রার সমাপ্তি ঘটান।