• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

তৃতীয় দফায় রিমান্ডে জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৯  

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জি কে বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনর নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

সাত দিনের রিমান্ডে জি কে শামীমকে তৃতীয় দিন ও খালেদ মাহমুদকে দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে আনা হয়েছে।

এর আগে তাদেরকে রমনা ও শাহবাগ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছিল।

সাত দিনের রিমান্ডে থাকা জি কে শামীমকে এর আগে রোববার দুপুরে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুদকে আনা হয়। প্রথম দিন দুপুর সোয়া ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ও দ্বিতীয় দিন সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে সাতটা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর দুদকের এক আবেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

অন্যদিকে যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ এবং যুবলীগ নেতা পরিচয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসা জি কে শামীমকে এদিন আলাদাভাবে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিল দুদক। তাকে সোমবার প্রথমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

দুই মামলাতেই দুদকের পক্ষে রিমান্ড শুনানি করেন দুদক আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

গত ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ খালেদ ও শামীমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন।

‘অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ’ ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করার অভিযোগ আনা হয় সেখানে।

আর খালেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের আরেক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

এই মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ক্লাবপাড়ায় অভিযান শুরুর প্রথমদিনেই গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে ধরা হয়। তার বাসা থেকে পাওয়া যায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র।

একই সঙ্গে অভিযান চলে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে। সেখানে পাওয়া যায় মদ আর জুয়ার বিপুল আয়োজন; সেইসঙ্গে ২৪ লাখ টাকা।