• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দখলমুুক্ত হলো নীলফামারীর দেওনাই নদী

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার উপর বহমান দেওনাই নদীটি দীর্ঘদিন হতে ইজারার নামে গায়ের জোরে দখল করে কিছু দখলদার মাছ চাষ করছিল। এমনকি মৎস্যজীবীরা নদীতে মাছ ধরতে গেলেই দখলদাররা তাদের মারধর দিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে মামলায় জড়িয়ে ফেলে। এতে প্রায় শতাধিক জেলে পরিবার তাদের একমাত্র কর্ম ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। 

এলাকাবাসী জেলে পরিবারগুলোকে এর প্রতিবাদে নদী দখলমুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মজিবুর রহমান হাওলাদার তাদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আজ শনিবার দুপুরে (২৩ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের শেওটগাড়ী এলাকার দেওনাই নদীর তীরে গিয়ে সহস্রাধিক এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে নদীটি দখল মুক্ত করার ঘোষণা দেন।

অতঃপর হাজার হাজার মানুষ উপস্থিতিতে উৎসবের মাধ্যমে দখলমুুক্ত হলো নীলফামারীর দেওনাই নদী। দেওনাই নদী দখলমুক্ত করার পর জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার নদীর পাশেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।

নদীর মালিক দেশের জনগণ উল্লেখ করে আলোচনা সভায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদী কেউ দখল করতে চাইলে তা হতে দেওয়া হবে না। সারাদেশে নদী দখলমুক্ত ও রক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এভাবে হাজার হাজার সাধারন মানুষের নদী দখল মুক্ত উৎসব দেশের কোথাও হয় নাই। এটিই দেশে প্রথম। আমরা চাই সারা দেশের মানুষ এভাবেই নদী দখল মুক্ত করতে এগিয়ে আসুক।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নদী কমিশনের সার্বক্ষনিক সদস্য আলাউদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহিনুর আলম, নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আল মামুন, ডোমার উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা প্রমূখ। দেওনাই নদী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াদুদ জানান, দীর্ঘদিন হতে কিছু প্রভাবশালী নদীর মাঝখানে বাঁশের চাটাই দিয়ে মাছ চাষ করে নদী দখল করে রাখে।