• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

দিনাজপুরে শিম চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন অনেক কৃষক-বেকার যুবক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯  

দিনাজপুরকে বলা হয় দেশের উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডার। এবার সে ভান্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে শীতের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি শিমে।

দিনাজপুরে চলতি শীত মৌসুমে শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে শিম চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন অনেক কৃষক-বেকার যুবক। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় শিম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন আরো অনেকেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার উলিপুর গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বাণিজ্যিকভাবে শিম চাষ করা হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য বাড়িতে গজিয়েছে শিমের মাচা। মাচাগুলোর শিম গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় শিম।

সদর উপজেলার মহব্বতপুরের শিম চাষি গোলাম মোস্তাফা বলেন, ৭-৮ বছর ধরে শিম চাষ করছি। প্রতিবছর অনেক লাভ হয়েছে। এ বছরও পাইকারি দামে ৪০-৪৫ টাকা কেজি শিম বিক্রি করেছি। এখনও প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি শিম বিক্রি করছি। আরো দুই মাস শিম থাকবে।

 

আরেক শিম চাষি মোকলেসুর রহমান বলেন, শিম ক্ষেতে রাসায়নিক সার, জৈব সার, পটাশিয়াম ব্যবহার করেছি। গাছে ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। প্রতিদিন এক মণ করে শিম তুলতে পারছি। পাইকাররা এসে জমি থেকেই শিম নিয়ে যান। এক বিঘা জমির শিম বিক্রি করে এক থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি হয়।  

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের শুরুর দিকে শিম গাছ রোপণ করা হয়। ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে শিম ধরতে শুরু করে। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি এসব শিম বাজারজাত করার উপযোগী হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল বলেন, এবার দিনাজপুরে ১৩ হাজার  হেক্টর জমিতে হয়েছে শিম চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতায় শিম চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছেন। তরুণ-বেকারদের মধ্যেই শিম চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া এবং দাম ভালো থাকলে এ অঞ্চলে শিম চাষের পরিধি আরো বাড়বে।