• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

‘নগদ’ সার্ভিসে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরল ডাক বিভাগে

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮  

অর্থ লেনদেনের জন্য ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ বাংলাদেশ ডাক বিভাগকে নতুন করে সাজিয়েছে। সেবাটি এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই সঙ্গে ডাক বিভাগে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য।

চলতি বছরের ১ অক্টোম্বর যাত্রা শুরু করার পর থেকে সারাদেশে প্রায় ৩৫ হাজার আউটলেট উদ্যোক্তা তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের তুলনায় বেশি অর্থ উত্তোলন সুবিধা থাকায় ‘নগদ’ দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

ডাক বিভাগের বিস্তৃত অবকাঠামোর সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশনকে এগিয়ে নেয়ার তাগিদ অনুভূত হচ্ছিলো অনেক বছর ধরে। ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ সেই আলোচনা এবং অভিজ্ঞতার ফসল। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি’র মাধ্যমে ডাক বিভাগ তাদের এই নতুন আর্থিক সেবা পরিচালনা করছে।

আর্থিক খাতের সরকারি এবং বেসরকারি দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে নগদ এর কর্মসূচি। গেল কয়েক মাসের প্রস্তুতি পর্বের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিলো পোস্ট অফিসের আধুনিকীকরণ এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ সূচি প্রস্তুত করা।

এদিকে জেলা পর্যায়ের প্রস্তুতিতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানান নগদের হেড অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার সোলায়মান সুখন। তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ের পোস্ট অফিসগুলো থেকে আমরা আশাতীত সাড়া পেয়েছি। বিশেষত নতুন প্রযুক্তির ব্যাপারে এই আগ্রহ আমাদেরকে উদ্দীপ্ত করেছে অনেক বেশি। সুখন আরো বলেন, ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের খুঁটিনাটি নিয়ে ওয়ার্কশপে অংশ নেয়ার জন্যে এরই মধ্যেই সারাদেশ থেকে দুই হাজার জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি এই মিলিত উদ্যোগ দেশের বিভিন্ন পোস্ট অফিসের কর্মচারীদের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পেছনে ডাক বিভাগের প্রত্যক্ষ অবদান হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

দেশের প্রতিটি পোস্ট অফিস ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ সেবার আওতায় থাকবে। এজন্যে আলাদা করে ব্র্যান্ডিং এবং প্রযুক্তি স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানান বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল। বর্তমানে নতুন এই কর্মচাঞ্চল্য নিয়ে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

সুশান্ত কুমার মন্ডল বলেন, আমাদের বিশাল পরিবার ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ নিয়ে সত্যিকার অর্থেই যথাযথ প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেকটাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ডাক বিভাগের প্রত্যন্ত পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারার বিষয়টিকে ইতিবাচক একটা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। এছাড়া ডাক বিভাগের আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে একটা বড় অর্জন বলে মনে করছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ৯ হাজার ৮৮৬ টি পোস্ট অফিস ও ৪০ হাজার কর্মকর্তা নিয়ে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে এদেশের মানুষের দোর-গোড়ায় সেবা দিয়ে আসছে। সময়ের বিবর্তনে ডাক বিভাগে নতুন প্রযুক্তির ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে চালু হয় পোস্টাল ক্যাশ কার্ড এবং ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম।