• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নতুন ঠিকানায় যাওয়ার অপেক্ষায় খানসামার ৪১০ গৃহহীন পরিবার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২১  

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে স্বপ্নের নতুন ঠিকানা। গৃহহীন পরিবারের জন্য সরকারি খাস জমিতে গৃহ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন গৃহহীন পরিবারগুলো তাদের স্বপ্নের ঘর পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এ উপহার পেয়ে খুশি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারগুলো। 

শনিবার সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত অধিকাংশ বাড়ির কাজ প্রায় শেষের দিকে।

গত ১০ নভেম্বর খানসামা উপজেলায় ভার্চুয়ালী গৃহ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি।

আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বাসুলী গ্রামের ভূমিহীন গেন বালা বৈশ্য জানান, বিয়ের কয়েক বছর পর স্বামী মারা যায়। কোনো সন্তানাদি না থাকায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে কুঁড়ের ঘরে জীবনযাপন করেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাকা বাড়ি ও দুই শতক জমির খবরে খুশির শেষ নেই তার। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, বাড়ি পেয়ে আমি খুব খুশি। কখনো ভাবিনি ইটের পাকা বাড়ি পাব। সৃষ্টিকর্তা শেখ হাসিনাকে সুস্থ রাখুক। 

কথা হয় ওই এলাকার ছকিনা বেগম, পার্শ্ববতী গ্রামের আজিয়া বেগমসহ অনেকের সাথে। আর কয়দিন পরেই ঘর পাবে তাই অনেক খুশি। তারা বলেন, অনেক কিছু সাহায্য পাইছি, কিন্তু টাকা পয়সা ছাড়া ঘর পাব এমন আশা কখনও করিনি। আল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘজীবি করুন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ‘আশ্রয়ণের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার’ এই শ্লোগানে এবং ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৪১০টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য খাস জমিতে গৃহ নির্মাণ কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।

প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করে সেই জমির ওপর ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি গৃহের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্ধারিত নকশা অনুযায়ী সবগুলো ঘর তৈরি করা হচ্ছে। এসব গৃহে দুটি সেমি-পাকা ঘর, রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট, ইউটিলিটি স্পেস, বারান্দাসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। প্রত্যেক সুবিধাভোগীর নামে সরকারি ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক কবুলিয়ত দলিল রেজিস্ট্রেশন, নামজারি সম্পন্নকরণ ও গৃহ প্রদানের সনদ প্রদান এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করে সুবিধাভোগী পরিবারের কাছে গৃহ হস্তান্তর করা হবে। 

এ ব্যাপারে খানসামার ইউএনও আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম জানান, প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক তাদের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ কাজ প্রকল্পের ডিজাইন ও প্রাক্কলন অনুযায়ী সম্পন্ন হওয়ার পথে। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামী ২৩ জানুয়ারি উপকারভোগীদের গৃহ হস্তান্তর করবেন। এরপরেই অসহায় গৃহহীন পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে।