• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নবীনদের আগমনে আনন্দের ঢেউ দোলা দিচ্ছে বেরোবি ক্যাম্পাসে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২০  

‘এসেছে শত পুষ্পের দল করছি তাদের বরণ,হাতে হাতে শোভা পাবে তাদের দেয়া মন।’ নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করতে এমন বাক্যই যেন উচ্চারিত হচ্ছে প্রবীণদের মুখে মুখে। কুয়াশা ভেদ করে ওঠা সূর্য্যরে মিষ্টি কিরণ আর ফুলের সমারোহে বর্ণিল সাজে সজ্জিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। 

চারদিকে ফুলের সৌরভ আর নবীনদের আগমণে আনন্দের ঢেউ যেন দোলা দিচ্ছে ক্যাম্পাসের প্রতিটি বৃক্ষের শাখায় শাখায়। তাঁদের পদচারণায় প্রাণের উচ্ছাস বইছে বাতাসে। 

এমন দৃশ্যই বুধবার সকাল ১০টা থেকে দেখা যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণে। প্রতি বছর নবীনবরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবীনদের বরণ করে নেয়া হলেও দ্বিতীয়বারের মতো তাদের বরণ করতে আয়োজন করা হয়েছে ‘উদ্বোধনী-সমাবর্তনের’। নানা অনুষ্ঠান আর জাঁকজমক  আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী-সমাবর্তন। 

বেলা ১১টায় জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা এবং বিভাগীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। পরে নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রবীণরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় নবীনদের।  

এছাড়া আলোচনা সভায় প্রফেসর ড. আরএম হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। 

অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আতিউর রহমান, রেজিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

আলোচনা সভার মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সমাপ্তি হবে। সন্ধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং মাঠে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লালনের গান। শিক্ষাজীবনের দীর্ঘ ১২টি বছর পার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন এই নবীন শিক্ষার্থীদের। কত স্বপ্ন লালন করে এই ক্যাম্পাসে আগমন নবীনদের! বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমনের মাধ্যমেই যেন তাঁরা  স্বপ্ন পুরনের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল। শুরু হলো নূতন করে পথচলা। পুরনো সব ব্যর্থতা আর গ্লানীকে ঝেড়ে ফেলে নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প নবীনদের মনে। কেউ বিসিএস ক্যাডার,কেউ বিজ্ঞানী,কেউবা হতে চায় শিক্ষক। 

নবীন শিক্ষার্থী স্বপনা বলেন, স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। তা পুরণ হয়েছে। এখন ভালোভাবে লেখাপড়া শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাই। শত বাধাঁকে ডিঙ্গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন করা এসব শিক্ষার্থীদের মনে বিরাজ করছে নূতন উদ্যোম। শুরু হয়েছে নূতন করে স্বপ্ন দেখা। এমন হাজারো স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন করে নবীন শিক্ষার্থীরা। তারা সামনের দিনগুলোতে তাদের স্বপ্নগুলো পূর্নাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা সবার।