• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

না খেয়ে শিশুরা যেন কষ্ট না পায়- প্রধানমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২০  

যারা ছোটখাটো ব্যবসা করে খেতো এখন আয় বন্ধ, এমন মানুষদের তালিকা করে তাদের বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের বাইরে সেই মানুষগুলো, যারা কাজ করে খেতো, এখন উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে ছেলেমেয়েদের নিয়ে তারা যেন কষ্ট না পায়। না খেয়ে শিশুরা যেন কষ্ট না পায়। তাদের খুঁজে বের করা, তাদের তালিকা করতে হবে।’

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সকল জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দিন আনি দিন খাই, ধরনের যারা ছোটখাটো ব্যবসা-বাণিজ্য করে যারা খেতো, অল্প পুঁজি, সামান্য কিছু টাকা কামাই করতো, তা দিয়ে তাদের সংসার চলতো। তাদের কাজগুলো বন্ধ হয়ে আছে। এভাবে বহুলোককে কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। আমাদের সাধ্য মতো আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ১০ টাকার চাল বিতরণের ব্যবস্থা করেছি।আবার বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছি। এবং সেই ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। আমাদের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া অব্যাহত থাকবে।’

মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না। কাজ করে খেতো, সেই কাজও করতে পারছে না। তাদের জীবন জীবিকা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো উপক্রম। যারা চাকরিজীবী বা বেতন পাচ্ছেন তাদের কথা আলাদা।’

তিনি বলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষামূলক কাজগুলো বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতাসহ বা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা অব্যাহত থাকবে। এর বাইরে যারা ভাতাপ্রাপ্ত না। অথবা আমরা যে ১০ টাকার চাল দিই, এ জন্য রেশন কার্ড আছে। তাদের তো আমরা চাল দিবোই, এর বাইরে যারা অনুদান নেবে না, কিনে খেতে চায়, তাদের জন্যও চালের ব্যবস্থা করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো এটা আমার অফিস থেকে বরাদ্দ দিতে হবে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কেও নির্দেশ দিতে হবে যে, যারা সুরক্ষা কর্মসূচির বাইরে, একেবারে নিম্নবৃত্ত বা মধ্যবিত্তের মধ্যে পড়ে তাদেরকেও দশ টাকার যে চাল, রেশন কার্ড তাদের জন্যও করে দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি রেনডম দিতে থাকি, তাহলে কিছু কিছু মানুষের অভ্যাস খারাপ আছে যারা দেখা যাবে নয়ছয় করছে। ঠিক সুনির্দিষ্ট লোকাটিকে দিতে হবে। আমরা যদি কার্ড করে দিই তাহলে এটা সম্ভব হবে। এই তালিকাটা থাকলে সুবিধা হবে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের জানতে পারবো, সুবিধা হবে।’

ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হওয়া কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমাদের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তারা বসে আছেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে আপনার উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এবং আমাদের যারা রাজনৈতিক নেতৃবন্দরা আছেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আছেন, অর্থাৎ এমপি, চেয়ারম্যান, মেয়র বা কমিশনার যারাই আছেন, সকলের কাছে আমার অনুরোধ সকলকে মিলেই কমিটি করে দিতে হবে।’

এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। যারা এখন বিভিন্ন জেলায় কর্মরত আছেন, আপনারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, কষ্ট করে যাচ্ছেন সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’