• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নীলফামারীতে কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

নীলফামারীতে এবার কলা চাষ অত্যন্ত ভালো হওয়ায় লাভের আশা করছেন কলা চাষিরা। কলার চাহিদা অনুযায়ী এবারে ফলন ভালো হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কলা নিয়ে যান এ এলাকার ব্যবসায়ীরা।

সূত্র মতে, এবার জেলায় বিভিন্ন জাতের কলা চাষ হয়েছে ১ হাজার ৩২ হেক্টর জমিতে। বাজারে মালভোগ কলার চাহিদা বেশি থাকায় চাষিরা গত বছরের চেয়ে এ বছর মালভোক কলা চাষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। 

পোড়ার হাটের কলা চাষি আমিনুর রহমান জানান, এ বছর কলার আবাদ ভালো হয়েছে। কলা চাষ করে আমরা প্রতি বছর অনেক টাকা লাভ করে থাকি। এ বছর আবাদ ভালো হয়েছে তাই লাভও বেশি হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কলা চাষি হারুন অর রশীদ বলেন, আমি ৫ বিঘা জমিতে এবার মালভোগ কলা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা (৩০ শতাংশে) আমার সার ,কীটনাশক, চাড়া, মুজুরীসহ যাবতীয় খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। আমার কলার আবাদ অনেকটা ভালো হয়েছে। ৪ বিঘা জমিতে কলা চাষে ব্যয় হয়েছে আমার ৮০ হাজার টাকা। সে মতে ৫ বিঘা জমির কলা বিক্রি হবে ৩ লাখ টাকা। এ জেলার কলা ঢাকাসহ সারা দেশের ব্যবসায়ীরা এসে নিয়ে যান। লাভ বেশী হওয়ায় আমি সারা বছর কলা চাষ করে থাকি। 

ডোমার উপজেলার কলা চাষী আবদুর রহিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জমি বর্গা নিয়ে এবার ৪ বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছি। আর ১ মাস পর কলা বিক্রি করা যাবে। কলা পাকার পূর্বেই আমার ৪ বিঘা জমির কলা ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম করছে ফরিয়া ব্যবসায়ীরা। আমার ৪ বিঘা জমিতে যাবতীয় খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এখন বিক্রি করলে আমি প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ গুনতে পারব।

এ বিষয়ে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম রায় জানান, কলা চাষে আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। যারা কলা চাষ করছে তাদের জমিতে গিয়ে সব সময় দেখাশোনা করছি এবং কলা চাষে যাবতীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান বলেন, নীলফামারীতে এবার কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তারা কলা চাষের জমিতে সার্বক্ষণিক গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।