• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নীলফামারীতে বিশেষ অভিযানে পৌনে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায়

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নীলফামারী সদর ও দুই উপজেলায় জেলা প্রশাসন ও র‌্যাব ১৩ নীলফামারী ক্যাম্পের সিপিসি-২ যৌথভাবে  ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকার জরিমানা আদায় করেছে। এরমধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৮৫হাজার, জলঢাকা উপজেলার প্রাইভেট হাসপাতাল ও নিবন্ধনহীন ক্লিনিক থেকে ৫৭হাজার এবং নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নে বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ উত্তরা ইপিজেড সামনে মেয়াদ উর্ত্তীণ ঔষধ, ভুয়া সার্টিফিকেট ও জাল সনদপত্র বিক্রি করায় ২৭ হাজার ৭০০ টাকার জমিমানা আদায় করা হয়।  

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এবং নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখী ছেপ।

জরিমানা আদায়করা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় রয়েছে সোনালী বেকারী ৫০হাজার, হামীম বেকারী ১৫ হাজার, বিজলী হোটেল ১০ হাজার, গোলজার হোটেল ৫হাজার এবং মামা হোটেল ৫ হাজার।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখী ছেপ জানান, খাদ্যে ভেজাল প্রদান, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও বিক্রয়, নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়। এ সময় খাওয়ার অযোগ্য খাদ্য ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য, রং, কেমিক্যাল সামগ্রী ও বিষাক্ত তেল জনসম্মুখে জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। 

দুপুরে সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নে বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ উত্তরা ইপিজেড সামনে মেয়াদ উর্ত্তীণ ঔষধ, ভুয়া সার্টিফিকেট ও জাল সনদপত্র বিক্রি করায় ১০টি প্রতিষ্ঠানে ২৭ হাজার ৭০০ টাকার জমিমানা আদায় করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর(এনডিসি) মাহবুব হোসেন ও সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যূথী। 

প্রতিষ্ঠানগুলোর হচ্ছে মশিউর ফার্মেসীকে ১০হাজার, ভুয়া সার্টিফিকেট ও জাল সনদপত্র বিক্রি করায় যুথি ভ্যারইটিজ ষ্টোর ৫হাজার, আলম ষ্টোর ২হাজার, আশরাফুল ষ্টোর ২হাজার, কাজল ষ্টোর ২হাজার, মোঃ রমজান আলীকে দন্ড বিথি আইনে ৩হাজার, মোঃ মিলন ইসলামকে ২হাজার, দেলোয়ার হোসেনকে এক হাজার, আসাদুজ্জামানকে ৫শত ও রমেন ষ্টোরকে দুইশ টাকার জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে অভিযান চালিয়েমেয়াদ উর্ত্তীণ সিলিন্ডার আছে কি না তা পরীক্ষা করা হয়। 

অপরদিকে জলঢাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজাউদ্দৌলা এবং র‌্যাব-১৩ নীলফামারী সিপিসি- ক্যা¤প অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে প্রাইভেট হাসপাতাল ও নিবন্ধনহীন ক্লিনিকে অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়। অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারের নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, প্রয়োজনীয় চেতনা নাশক না থাকা, কর্তব্যরত চিকিৎসক না থাকা, অনুমতি বা নিবন্ধন না থাকায় বিভিন্ন আইনে ৫৭হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

জরিমানা আদায়করা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ডে-নাইট হাসপাতাল এন্ড ডায়োগনষ্টিক সেন্টার ৪০হাজার, সততা ক্লিনিক এন্ড ডায়োগনষ্টিক সেন্টার ৫হাজার, আল আমিন ক্লিনিক এন্ড ডায়োগনষ্টিক সেন্টার ৫হাজার, জলঢাকা স্কয়ার হসপিটাল এন্ড ডায়োগনষ্টিক সেন্টার ৫হাজার, জলঢাকা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব ২হাজার। 

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মাহবুব হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন মহোদয়ের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে নীলফামারী র‌্যাব-১৩, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউ এইচ এফ পি, সদর, সৈয়দপুর ও জলঢাকা উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক) ও থানা পুলিশের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।