• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পীরগাছায় শীতের তীব্রতার বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

রংপুরের পীরগাছায় গত কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠাণ্ডাজনিত রোগগুলোও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় নিউমোনিয়া ও কোল্ড ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত এক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক শিশু নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ১২ শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার রামচন্দ্র গ্রামের সাড়ে তিন বছরের মিহাকে নিয়ে এসেছেন তার বাবা স্বপন মিয়া। তিনি বলেন, 'হঠাৎ শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছে আমার ছেলে। তাই চিকিৎসার জন্য এখানে নিয়ে এসেছি।'

ছোট পানসিয়া গ্রামের আট মাসের শিশু মাহিন ডায়রিয়ার আক্রান্ত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। মাহিনের বাবা আঙ্গুর মিয়া বলেন, 'আমার ছেলের ঠাণ্ডার কারণে ডায়রিয়া হয়েছে। দুইদিন আগে এখানে ভর্তি করা হয়েছে।’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, দিনে গরম থাকলেও সন্ধ্যার পরেই ঠাণ্ডা বেড়ে যাচ্ছে। এতে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় উপজেলার তাম্বুলপুর, চর ছাওলা, পশ্চিম দেবু, অনন্তরাম, তালুক ঈসাদ, গুয়াবাড়ি, দুধিয়াবাড়ি, জুয়ানের চর, রহমত চর ও প্রতাপ জয়সেন গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক শিশু ও বৃদ্ধ চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় গত এক সপ্তাহে (৮ ডিসেম্বর থেকে) নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধসহ ৮৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিনই নতুন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে। দিনে গরম ও রাতে ঠাণ্ডা হওয়ায় রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহ নেওয়াজ সৈকত বলেন, ‘সম্প্রতি ঠাণ্ডাজনিত কারণে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত শিশু রোগীর চাপ বেশি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু আল হাজ্জাজ বলেন, ‘প্রতি বছর এ সময় দিনে গরম ও রাতে শীত পড়ার কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়।’