• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২০  

প্রকল্পের টাকা লুটপাটের সংবাদ  প্রকাশের পর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার সকালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাহার উদ্দিন মৃধা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এ ছাড়া অনিয়মের প্রাথমিক তথ্য পাওয়ায় এরইমধ্যে ওই সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর চাকরি সংক্রান্ত একটি ফাইল আটক করে দিয়েছে লালমনিরহাট নিবার্হী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর রংপুর বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাহার উদ্দিন মৃধা জানান, যতটুকু কাজ হবে তত টুকুই বিল দেয়া উচিত ছিলো সহকারী প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি রায়ের। কিন্তু  তিনি সে নির্দেশনা না মেনে বিল দিয়েছে এটা দুঃখ জনক। এ ঘটনার দায়ভার জেলা নিবার্হী প্রকৌশলীও এড়াতে পারেন না। কাজের চেয়ে অতিরিক্ত বিল উঠানোর বিষয়টি আমিও আগে থেকে একটু জানতাম। মনে করে ছিলাম ঠিকাদার কাজ করে দেবেন। কিন্তু কাজ না করে ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করবেন তা জানতাম না। 

জানা যায়, হাতীবান্ধায় দৃষ্টি নন্দন পুকুর ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পের নামে কাজ না করেই ১৮ লাখ টাকা লুটপাটের ফন্দি তৈরি করেছেন উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি রায়। প্রকল্পের ২০ ভাগ নিমার্ণ কাজের বিপরীতে প্রায় ২৬ লাখ মোট টাকার মধ্যে ১৮ লাখ টাকার বিল-ভাউচার দাখিল করে ঠিকাদারের কাছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ওই টাকা উঠাতে ঠিকাদারকে সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। সেই সুবিধার টাকা বৈধ করতে তিনি এখন চিঠি-পত্র চালাচালি করে ফন্দি তৈরি করছেন প্রকল্পটি যেন এখানেই শেষ হয়ে যায়। নিম্নমানের কাজ ও অপরিকল্পিতভাবে বোমা মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করায় সামন্য বৃষ্টিতেই ভেঙে গেছে পুকুরের পাড়।

অভিযোগ রয়েছে, বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে নলকূপ ও স্যানিটেশন প্রকল্পে নানা অনিয়মের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি রায়। এ ছাড়া নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।