• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

‘প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে অহমিকাবোধ ছিল না আমার মায়ের’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- আমার মা একজন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী ছিলেন। আমার বাবা যখন প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফিরে এলেন তখনো কিন্তু আমার মায়ের মধ্যে এই অহমিকাবোধ কখনো ছিল না যে, তিনি একজন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। তিনি কখনো সরকারি বাসভবনে বসবাস করেননি। 

শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ছেলেমেয়েরা যেন বিলাসিতায় গা না ভাসিয়ে দেয় সেদিকে বঙ্গমাতা সবসময় সচেতন ছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি নিজে গণভবনে বা সরকারি বাসভবনে থাকেননি। না থাকার কারণটা হচ্ছে তিনি বলতেন, আমার ছেলেমেয়েকে নিয়ে সরকারি বাসভবন বা শানশওকতে থাকব না। তারা বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হোক সেটা আমি চাই না। বিলাসিতায় আমরা যেন গা না ভাসাই সেটার ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। তিনি সব সময় আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ত্যাগ আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াসঙ্গী ছিলেন। সহধর্মিণী হিসেবেই শুধু নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে সবসময়  প্রেরণা জুগিয়েছেন মা।

তিনি বলেন, ত্যাগের মধ্য দিয়ে একটা সংসারকে সুন্দর করা যায়, একটা প্রতিষ্ঠানকে সুন্দর করা যায়, একটা দেশকে সুন্দর করা যায়। চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার চেয়ে বড় আর কিছু হয় না। আমার মা ফজিলাতুন নেছা মুজিব সেই দৃষ্টান্তই দেখিয়ে গেছেন। আমার মা প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বলে তার মধ্যে কোনো অহমিকাবোধ কখনো ছিল না। ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার নির্মম ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার মা জীবন ভিক্ষা চাননি। তিনি নিজে বাঁচতে চাননি। তিনি সাহসের সঙ্গে সেখানে এ কথাই বলেছিলেন- ‘আমার স্বামীকে হত্যা করেছ, আমি তাঁর কাছেই যাব।’ 

তিনি বলেন, আমার মা আমার বাবার একজন উপযুক্ত সাথী হিসেবেই চলে গেছেন। আব্বার যে আদর্শ, সেই আদর্শটা তিনি খুব সঠিকভাবে ধারণ করেছিলেন। আর সেটা ধারণ করেই তিনি নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করে দিয়ে গেছেন। 

বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, সবচেয়ে বড় কথা, রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন সময় যখন একটা কঠিন সিদ্ধান্তের বিষয়- সেখানে আমি দেখেছি, আমাকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আমাদের অনেক বড় বড় অভিজ্ঞ নেতারাও যেখানে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারেননি হয়তো বা একটা ভুল সিদ্ধান্ত দিতে গেছেন, সেখানে আমার মা ঠিক সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটাই নিয়েছেন।