• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফসল হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

মঙ্গলবার উপজেলার জামালপুর, বামুনিয়া ও নয়মাইল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা জমিগুলোতে ফুলকপি, বাধাকপি ও শিম চাষ করছে। কিন্তু ফসলের গাছগুলো পঁচে যাচ্ছে। আবার অনেকগুলো গাছের পাতা মরে শিম ঝড়ে পড়ে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগী কৃষকরা বলেন, ফসলের ছত্রাক দূর করতে কয়েকদিন আগে স্থানীয় নয়মাইল হাটের রাজু এন্টারপ্রাইজ, নজরুলের দোকান ও কাজীর কীটনাশক দোকান থেকে ম্যারাবো এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের তৈরি ‘ম্যারাবো’ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু ছত্রাক বিনাশ হওয়ার পরিবর্তে গাছগুলো মরে যাচ্ছে এবং পাতা ঝরে ফসল পড়ে যাচ্ছে ।

ওষুধ বিক্রেতা নয়মাইল হাটের দোকানি নজরুল ইসলাম ও রাজু এন্টারপ্রাইজের মালিকরা বলেন, এ বিষয়ে আমরা দায়িত্ব নেব না। কারণ এটা কোম্পানির বিষয়।

ম্যারাবো এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের রাজশাহী বিভাগীয় ম্যানেজার মো. আজাদ হোসেন বলেন, কয়েকদিন পর সেখানে সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখব। এখন কিছু করার নেই।

কৃষক ফরিদ হোসেন বলেন, দুইবিঘা জমিতে শিম ও ফুলকপি চাষ করে অনেক টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু সব ফসল নষ্ট হওয়ায় আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। চোখের পানিতে আহাজারী করছে পরিবার পরিজন।

একই অবস্থা কৃষক নুরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ও আনেছ আলীসহ ১৩ জন কৃষকের। ভুক্তভোগী এসব কৃষকরা বলেন, সবমিলে প্রায় ২০ বিঘা জমির শিম, ফুলকপি ও বাধাকপির গাছ মরে নষ্ট হয়ে গেছে।

শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা বলেন, প্রয়োগকৃত ছত্রাকনাশক ও বালাইনাশক ওষুধটি ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।