• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুলবাড়ীতে সওজে’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২০  

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সওজের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। সঠিক মাপ নির্ধারন না করে স্থাপনা উচ্ছেদ চলছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অনেকে। গত ২০ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দিনব্যাপি পৌর শহরের ঢাকা মোড় থেকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত সড়ক ও জনপদের রাস্তার দু’পাশের জায়গা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সওজে’র নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ইমদাদুল হক শরিফ। 


দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের জন্য সড়কের দুই পাশে সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে এর পূর্বে একাধিকবার সড়ক ও জনপদের রাস্তা দখলকারীদের উচ্ছেদের নোটিশ দিলেও তারা নিজেরা সড়ক ও জনপদের রাস্তা ছেড়ে না দেয়ায় সর্বশেষ এই অভিযান পরিচালনা করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ, দিনাজপুর। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের যুগ্নসচিব মাহবুবুর রহমান ফারুকী, দিনাজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিতি চাকমা।
উচ্ছেদ অভিযানে দিনাজপুর জেলা সড়ক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে দিনাজপুর সদর পর্যন্ত ১০৬ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে সরকারি জায়গার মধ্যে সকল দোকান-পাট, ঘর-বাড়ি, মার্কেট-শোরুম, ব্যাংক-বীমা, অফিস ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিতি চাকমা। এরই অংশ হিসাবে ২০ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দিনব্যাপি ফুলবাড়ী পৌর শহরের ঢাকা মোড় থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চলে ।


সড়ক ও জনপদ বিভাগের যুগ্নসচিব মাহবুবুর রহমান ফারুকী উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের জানান, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের যে ঘোষণা রয়েছে, জনগণের নির্বিঘেœ চলাচলের স্বার্থে আগামী ৬ মাসের মধ্যে সড়কের উভয় পাশে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরই অংশ হিসাবে ঘোড়াঘাট থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে ১০৬ কিলোমিটার রাসÍার দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, উচ্ছেদ অভিযানের আগে তাদেরকে সতর্কিকরণ নোটিশ প্রদান ও মাইকিং করা হয়েছিল। এর পরেও যারা স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি তাদের স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও ফুলবাড়ী আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন।


এই উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে কিছু কিছু মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, অভিযানটি নিরেপক্ষ দৃষ্টি কোণ থেকে করা হচ্ছে না। কোথাও-কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে! আবার কোথাও-কোথাও তাদের দেয়া চিহ্নও অতিক্রম করেও স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কিছু সংখ্যক মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় জনগন সড়ক ও জনপথ বিভাগের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিভিন্ন মহলে।