• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিজয় দিবসে বীরগঞ্জে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে। বিজয়ের চেতনায় ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে পৌরশহরের প্রতিটি এলাকায় বেড়েছে জাতীয় পতাকার ব্যবহার। দিনটিকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় পতাকার বেচাকেনা বেড়েছে। ফেরিওয়ালারা উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন বিজয়ের নিশান হিসেবে। দেশের নীলফামারী জেলা সৈয়দপুর উপজেলা থেকে আগত পতাকা বিক্রি করতে আসা হিরা লাল বলেন, জীবিকার জন্যই শুধু পতাকা বিক্রি করা নয়, পেশার মধ্যে রয়েছে দেশাত্মবোধ ও দেশপ্রেম। প্রতিবছর বিজয় দিবস উপলক্ষে তারা ফেরি করে পতাকা বিক্রি করেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আর বিজয় দিবস যতয় ঘনিয়ে আসে ততয় তাদের জাতীয় পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়। আকারভেদে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাগজের ছোট পতাকা ১৫-২০ টাকায় বিক্রি করেন। কাগজের বিজয় স্মৃতিসংবলিত ক্যাপ বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। মাথায় পরার পতাকাসংবলিত রাবার ব্যান্ড বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২৫-৩০ টাকা। হাতের ব্যান্ড বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। ডিসেম্বর মাস শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সব খরচ বাদ দিয়ে তাদের আয় থাকবে প্রায় ১০ হাজার করে। বীরগঞ্জ উপজেলা উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি প্রভাষক প্রশান্ত কুমার সেন বলেন, রাত পোহালেই উৎযাপিত হতে যাচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর। তাই বড় মাপের একটি জাতীয় পতাকা এবং সন্তানদের জন্য ক্যাপ কিনেছি। তবে এসব কিনে আমি গর্বিত। মনে করি - পতাকার মাধ্যমে শহীদদের সম্মান তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। আর তারা সেটিকে অন্তরে যত্নের সঙ্গে লালন করবে বলে আমি মনে করি। উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক কালিপদ রায় বলেন, দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা বেঁচে থাকার জন্য ভয়াবহ যুদ্ধ করেছি। ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময় জন্ম হয়েছে আমাদের সোনার বাংলাদেশ। আমরা পেয়েছি লাল- সবুজ পতাকা। সেই অনুভূতি আর সেই ভালোবাসা দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে থাকার প্রয়োজন বলে মনে করেন।