• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

`বিশ্বে তাল মিলিয়ে চলতে হলে যুগোপযোগী শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে`

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯  

দিনাজপুর-১ আসনের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্বে তাল মিলিয়ে চলতে হলে যুগোপযোগী শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। মেধার চর্চা বেশি বেশি করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে মানব জীবনে সফলতা অর্জন করতে হবে। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখে আগামীর দিন শুরু করতে হবে।

মঙ্গলবার কাহারোল উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি বিতরণ, পুরস্কার বিতরণ ও এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রথম শ্রেণি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ৩৪৪ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ছাত্র-ছাত্রীদের পাঁচ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি, তিনশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উপকরণ বিতরণ করেন এমপি গোপাল। দুইটি কমিউনিটি সেন্টারে এ বিতরণ কর্মসূচি হয়।

ইউএনও মো. নাসিম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক সরকার। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু জাফর মো. সাদেক, কাহারোল থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম ফারুক, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজেন্দ্র দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার রায়, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোহন চন্দ্র রায়, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইদয় চন্দ্র রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. মৌসুমি আক্তার, উপজেলা আদিবাসী সমিতির সভাপতি নারায়ণ মাড্ডিসহ প্রমুখ।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এমপি গোপাল আরো বলেন, শুধু লেখাপড়া করে ফলাফল ভাল করলেই চলবে না, বরং ভাল চরিত্রের ও ভাল মনের মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। অর্থের অভাবে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে না বাংলাদেশে এমন পরিস্থিত আর নাই। 

দরিদ্র কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খরচ সরকার বহন করবে। কোন প্রতিভা চাপিয়ে রাখা যায় না। মেধা থাকলে তা বিকশিত হবেই। আমাদের সমাজে এখনো অনেক হৃদয়বান মানুষ আছে। যারা মেধাকে বিকশিত করতে সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।