• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিষ প্রয়োগ ছাড়াই ক্ষতিকর পোকা দমন, জনপ্রিয় হচ্ছে পার্চিং পদ্ধতি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের ১২টি ইউনিয়নের চাষিরা ধানখেতে বিষ প্রয়োগ ছাড়াই ক্ষতিকর পোকা দমন ও ধ্বংস করার জন্য পার্চিং ব্যবস্থায় সুফল পাওয়ায় এ পদ্ধতি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। গত কয়েক বছর অধিকাংশ চাষি ধানখেতে ক্ষতিকর পোকা দমনের জন্য পার্চিং হিসেবে বাঁশের কঞ্চি ও ধৈঞ্চা গাছের চারা রোপণ করে আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ধানখেতে সবুজের মাঝে ধৈঞ্চা গাছের হলুদ ফুলের সমারোহ প্রকৃতিক সৌন্দর্য অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। ধৈঞ্চা গাছের হলুদ ফুল শুধু শোভাবর্ধনের জন্য নয় বরং হলুদ ফুলে আকৃষ্ট হয়ে উপকারী পোকা আসে ধানখেতে। এরা ক্ষতিকর পোকা ধ্বংস করে। এছাড়াও ধৈঞ্চা গাছে দিনভর ফিঙ্গে, শালিক ও বুলবুলিসহ নানা ধরনের উপকারী পাখি বসার সুব্যবস্থার ফলে ক্ষতিকর পোকা দমন হয়।

তিনি আরো জানান, পোকা দমনে এখন আর হাজার হাজার টাকা খরচ করে নানা ধরনের কীটনাশক স্প্রে করতে হয় না ধানখেতে। কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আফ্রিকান জাতের ধৈঞ্চার মাধ্যমে জীবন্ত পার্চিং পোকা দমনের সবচেয়ে সহজ উপায় এবং কম খরচে পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থাপনায় কৃষকের জন্য সরবরাহ করে। আফ্রিকান জাতের ধৈঞ্চা গাছের শিকর ও গোড়ার দিকে অসংখ্য নডিউল (গুটি) থাকে। এই নডিউলে নাইট্রোজেন জমা হয়। যা ইউরিয়া সারের কাজ করে। জীবন্ত পার্চিংয়ের মাধ্যমে বিশেষ করে ধানের মাজরা পোকা এবং পাতা মোড়ানো পোকা দমন হয়। একমাত্র জীবন্ত পার্চিংয়ের মাধ্যমে দূষণমুক্ত পরিবেশে, বিষমুক্ত ফসল উত্পাদন সম্ভব।

উপজেলার আফজাল হোসেন, আজিজুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন কৃষক জানান, জীবন্ত পার্চিং পদ্ধতির গুণাগুণ দেখে প্রথমে আমরা অবাক হয়েছি। আমরা এ বছর স্বউদ্যোগে গত কয়েক বছরের তুলনায় দ্বিগুণহারে এ পদ্ধতি অনুসরণ করেছি। ফলে আর্থিক ক্ষতি, পরিবেশ ও বায়ুদূষণ এবং নানা ধরনের রোগবালাই থেকে নিজে ও মানুষকে রক্ষা করতে পারছি।