• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মশার প্রজননস্থল হয়ে উঠেছে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খাল!

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৯  

রংপুর মহানগরীতে ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খালটি এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড় আর মশা উৎপাদন খামারে পরিণত হয়েছে। সংস্কার ও ঐতিহ্যরক্ষার উদ্যোগ না নেওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।

রংপুর মহানগরের পয়:পানি নিষ্কাশনের একমাত্র উপায় শ্যামাসুন্দরী নামের এই খালটি। কিন্তু খালের দু’ধারের পরিবারগুলোর ফেলা ময়লা আবর্জনা, পলিথিন আর মরা কুকুর ছাগলের লাশের পচা দুর্গন্ধের কারণে, এটি এখন জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে। খাল পরিণত হয়েছে সরু ড্রেনে।

শ্যামাসুন্দরী খালের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। এটি নগরের উত্তর-পূর্ব দিকে সিও বাজার এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মাহিগঞ্জ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, খালটি খনন, সংস্কার, পাড় নির্মাণ ও এটির ওপর তিনটি সেতু নির্মাণ বাবদ ২০১২ সালে ২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। এরও আগে ২০০৮-০৯ সালে খালটি সংস্কারে আরও ১২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু মানুষের বাসা বাড়ির বর্জ্য ফেলতে ফেলতে খালটি আর খাল নেই, ভরাট হয়ে সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে। ঝোপ-জঙ্গলে ভরে গেছে। আর এখান থেকে জন্ম হচ্ছে মশার।

সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এই খাল সংস্কার করে ঐতিহ্য ফিরে আনতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রকল্প অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় কিছুটা সময় লাগবে। ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়ে খালের মধ্যে বাসা বাড়ির ময়লা–আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি সবার সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করেন।