• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশি সংস্থার পাশে ফেসবুক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২১  

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার জন্য নতুন কিছু সেবা চালু করতে বাংলাদেশি কয়েকটি সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা জন্য চলতি মাসে এ উদ্যোগ গ্রহণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে এ রকম সংস্থাগুলোর সাথে মানুষের যোগাযোগ স্থাপন করতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মহামারির যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে তা কাটিয়ে উঠতে এই উদ্যোগের লক্ষ্য।

এখন থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সরাসরি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ‘মনের বন্ধু’ এবং ‘কান পেতে রই’-এর মতো সংস্থার সহায়তা পেতে পারেন। প্রতিষ্ঠানগুলো আত্মহত্যা, হতাশা, উদ্বেগ এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় নিয়মিত কাউন্সিলিং সেবা প্রদান করে আসছে। এর আগে ২০১৯ সালে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় ১৭% বিভিন্ন রকম মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাদের মধ্যে ৯২% কাউন্সিলিং বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য নেন না।

ফেসবুকের গ্লোবাল সেফটি পলিসির পরিচালক করুণা নেইন বলেন, এই বছর মহামারি মানুষকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপনের পাশাপাশি নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হতে বাধ্য করেছে। আমরা তাদের জানাতে চাই যে তারা একা নয়, আমরা তাদের আশপাশের এমন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে চাই যারা তাদের কথা শুনবে এবং সহযোগিতা করতে পারবে।

ফেসবুক মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার সমাধান করতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম ফিচার তৈরি করছে। ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডসের আত্মহত্যা ও আত্মঘাতী কন্টেন্ট প্রতিরোধী নীতিমালা রয়েছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের কাজকে আরও কার্যকর করতে ফেসবুক এবার সূচনা ফাউন্ডেশন এবং মনের বন্ধু-এর মতো স্থানীয় অলাভজনক সংস্থার সাথে কাজ করেছে।

সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন এবং ডব্লিউএইচও’র মানসিক স্বাস্থ্য এবং অটিজম বিষয়ক ডিরেক্টর জেনারেলের উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ বলেন, মানসিক অবসাদ মোকাবিলায় সবচেয়ে ভালো উপায়গুলোর একটি হলো পরিবার ও বন্ধুদের সংস্পর্শে থাকা।

বাংলাদেশের মানুষদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ফেসবুকের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞের সাথে সাধারণ মানুষের সহজে যোগাযোগ করতে পারা মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ, বলেন তিনি।

গত বছর নিজের ক্ষতিসাধণ মূলক ছবি যেন কেউ পোস্ট করতে না পারেন সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয় ফেসবুক। কারণ এ ধরনের ছবি অন্যকে মনের অজান্তেই আত্মঘাতী আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের সাথে সাধারণ মানুষকে আরও সহজে যোগাযোগ করিয়ে দিতে কাজ করছে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম।