• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাসুদ রানা হবেন দিনাজপুরের ছেলে রাসেল রানা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চ্যানেল আইয়ের আলোচিত রিয়েলিটি শো ‘মেনস ফেয়ার এন্ড লাভলি চ্যানেল আই হিরো-কে হবে মাসুদ রানা?’র চ্যাম্পিয়ন হলেন দিনাজপুরের রাসেল রানা।

গতকাল সন্ধ্যায় চ্যানেল আইয়ের পর্দায় জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বহুল প্রতীক্ষিত এই রিয়েলিটি শোয়ের সিজন ফিনালে ঘোষণা করা হয়। হাজারও প্রতিযোগী টপকে মাসুদ রানা’র গ্র্যান্ড ফিনালে ছিলেন শীর্ষ তিন প্রতিযোগী। তারা হলেন রাসেল রানা, সাজ্জাদ খান এবং জুনায়েদ। এই তিনজনের মধ্যে সব দিক বিবেচনায় রাসেল রানাকেই ‘মেনস ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি চ্যানেল আই হিরো-কে হবে মাসুদ রানা?’র জন্য সেরা মনে করেন বিচারকরা!

বিজয়ী হিসেবে রাসেল রানা জিতে নেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ লি. ও চ্যানেল আইয়ের তরফ থেকে একটি টয়োটা অ্যাকুয়া গাড়ি। তার হাতে সেরার পুরস্কার তুলে দেন চ্যানেল আই ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর।

এর আগে সিজন ফিনালের মঞ্চে কোরিওগ্রাফার তানজিল আলমের তত্ত্বাবধায়নে সেরা তিনজন প্রতিযোগীর অসাধারণ পারফর্ম নজর কাড়ে সবার। শুধু প্রতিযোগীরাই নয়, অনুষ্ঠানে এই শোয়ের প্রধান বিচারক চিত্রানায়ক ফেরদৌস ও পূর্ণিমার যৌথ পারফর্মেন্সেরও প্রশংসা করেন অনেকে।

সেই বহুল আলোচিত মাসুদ রানা হওয়ার অনুভূতিসহ, প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন রাসেল রানা।

‘মাসুদ রানা’ হয়ে কেমন লাগছে?

খুবই ভালো লাগছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত আসব, চ্যাম্পিয়ন হব, ভাবতেই পারিনি। খুব চেষ্টা ছিল। মাসুদ রানা হওয়ার স্বপ্ন মাথায় নিয়ে কাজ করে গেছি।

আপনি স্বপ্নের মাসুদ রানা—ভাবতে কেমন লাগছে?

অবাক লাগছে। মাসুদ রানা চরিত্রটি সবার কাছে স্বপ্নের হিরো। বড় একটা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সেই হিরো হতে পেরেছি। এ জন্য আমার এলাকার মানুষ, পরিবার, বন্ধুবান্ধব—সবাই খুবই আনন্দিত।

প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

আবেদন করেছিলাম রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে। গুলশানের একটি হোটেলে প্রথম দিন অডিশন দিয়েছিলাম। প্রায় সাড়ে পাঁচ শ প্রতিযোগী ছিল সেদিন। যারা এসেছিল, সবাই দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত। প্রথম অডিশনেই বাদ পড়ে যাওয়ার ভয়ে ছিলাম। সেদিন ১৫ জন ইয়েস কার্ড পেয়েছিল। আর ১৫ জন অপেক্ষমাণ তালিকায় ছিল। মোট ৩০ জনকে নিয়ে আরেকটি অডিশন হয়। আমি ইয়েস কার্ড পাই। এরপর নানা পর্ব পার হয়ে চূড়ান্ত পর্বে তিনজন টিকে থাকি। তারপর চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলাম।

কোন প্রত্যাশা নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন?

আমি মাসুদ রানার ভক্ত, বাবারও পছন্দ চরিত্রটি। ছোটবেলা থেকেই ‘মাসুদ রানা’ সিরিজ পড়ি। ছোটবেলায় যখন পড়তাম, তখন মনে হতো, ইশ্! মাসুদ রানার মতো যদি হতে পারতাম।

‘মাসুদ রানা’ সিরিজের কী কী বই পড়েছেন?

ধ্বংস পাহাড়, ভারতনাট্যম, স্বর্ণমৃগ, দুর্গম দুর্গসহ অনেক বই পড়েছি। তবে ধ্বংস পাহাড় আমার বেশি পছন্দ।

আগে কী করতেন?

স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগে লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করতাম। পাশাপাশি মডেলিং করতাম।

‘মাসুদ রানা’ ছবির কাজ কবে শুরু হবে?

চ্যানেল আই কিংবা জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে এ ব্যাপারে কোনো কিছুই জানানো হয়নি।

শেষ তিন প্রশ্নঃ

‘সোহানা’ হিসেবে কাকে পছন্দ করবেন?

নুসরাত ফারিয়া ও বিদ্যা সিনহা মিমকে সোহানা হিসেবে আমার পছন্দ।

কোনো কারণে মাসুদ রানাকে নিয়ে ছবি না হলে কী করবেন?

সুযোগ না হলে করব না। তবে প্রত্যাশা আছে বড় পর্দায় কাজ করার।

এখন লক্ষ্য কী?

বড় পর্দায় কাজ করতে চাই।