• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরী ভলুর স্ত্রী সুরভী ইসলাম চৌধুরী পপিকে (৩৫)  গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর তিনটার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর শহরের গোলাহাট মহল্লায় ওই নেতার বাসভবনে দুই কেয়ারটেকার এ ঘটনা ঘটায়। সুরভী ইসলাম চৌধুরী পপি হিটলার চৌধুরী ভলুর দ্বিতীয় স্ত্রী। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে পরে অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন পপির গলায় ও হাতে চিকিৎসকরা ৪০টির অধিক সেলাই করেছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে।

জানা যায়, হিটলার চৌধুরী ভলুর শহরে দুইটি বাড়ি। পাওয়ার হাউস এলাকায় একটি ও গোলাহাট মহল্লায় আরেকটি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পপির ছোট মেয়ে তাসফিয়া লাবিবা চৌধুরী অদ্রি (৭) সাংবাদিকদের জানায় তার বাবার কাজের জন্য রাখা দুই কেয়ারটেকার জীবন(২১) ও রাজা(১৭) গভীর রাতে এসে ডাকাডাকি করলে মা দরজা খুলে দেয়। সে সময় বাবা পাওয়ার হাউস এলাকায় ছিলেন। ঘরে ঢুকে কেয়ারটেকার দুইজন হঠাৎ চাকু বের করে আম্মুর গলা কাটতে থাকে। আম্মু বাধা দেয়ার চেস্টা করলে আম্মুর হাতও ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এ সময় আমি ও আম্মু চিৎকার করতে থাকলে জীবন ও রাজা পালিয়ে যায়। 

এলাকাবাসী জানায়, জীবন গোলাহাট মহল্লার মহম্মদ মুন্না এবং রাজা একই এলাকার মৃত সাগির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনার পর তাদের এলাকায় আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছেনা। এলাকার সকলে জীবন ও রাজাকে ভলু চৌধুরীর বিস্তস্থ বলে জানায়। তারা তার বাড়ির নিজের ছেলের মতো থাকতো। কিন্তু তারা যে এতো ভয়ংকর হতে পারে মহল্লাবাসী তা ভাবতেই পারেনি।

এ ব্যাপারে আওয়ামী নেতা হিটলার চৌধুরী ভলু বলেন ঘটনার সময় তিনি পাওয়া হাউস এলাকায় ছিলেন। খবর পেয়ে বাড়ি ছুটে আসেন এবং স্ত্রীকে প্রথমে সৈয়দপুর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করেন। তিনি জানান যে ছেলে দুটো এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আমারই সাথেই থাকে। কেন বা কি কারনে তারা এমনটা ঘটালো বুঝতে পারছিনা। এ বিষয়ে থানায়  মামলা দায়ের করবো।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসনাত ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, আমরা ঘটনাস্থল  পরিদর্শন করেছি এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  জীবনের বাবা মুন্নাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।