• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সৈয়দপুরে গুচ্ছগ্রামের বাড়ি নির্মাণে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯  

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নে নির্মিতব্য গুচ্ছগ্রামের বাড়ি নির্মাণের জন্য তৈরি করা খুঁটি লাগানোর আগেই ফেটে গেছে। তারপরও মাথার দিকে ফেটে চৌচির হওয়া খুঁটিগুলোই ঘরে লাগানো হয়েছে। এতে করে ভবিষ্যতে ফাটা অংশ আরও বড় আকারে ফাটলের মাধ্যমে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি অল্প জায়গায় বেশি বাড়ি নির্মাণের কারণে ঘরের সাথেই যেভাবে টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে তাতে অল্প দিনের মধ্যেই তা সম্পূর্ণ গুচ্ছগ্রামের পরিবেশে বিপর্যয় ঘটাবে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দুর্গন্ধ ছড়ানোসহ ক্ষতিকর গ্যাসের প্রভাবে চরম অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পতিত হবে এলাকাটি। এনিয়ে আশেপাশের লোকজন বিষয়টি সংবাদকর্মীদের কাছে তুলে ধরেন।

গুচ্ছগ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি ঘরের দু’একটি খুঁটির উপরিভাগে ভেঙে গেছে। কোন কোন খুঁটির মাঝ বরাবর টিন লাগানোর জন্য নাটবল্টু লাগানোর ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করতে গিয়ে ভেঙে রড বেরিয়ে পড়েছে। এরপরও ওই খুঁটিগুলোতে এঙ্গেল দিয়ে টিন লাগানো হয়েছে। যা ভবিষ্যতে আরও ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ঘর সংলগ্ন টয়লেট নির্মাণের জন্য অত্যন্ত সংকীর্ণ স্থান দেওয়া হয়েছে। এতে অল্প দিনের মধ্যেই টয়লেটগুলো ভরে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। কেননা টয়লেটগুলোতে সেপটি ট্যাংক হিসেবে মাত্র ৫টি সিমেন্টের রিং ব্যবহার করা হয়েছে এবং রিংগুলোর উপরেই ¯øাব বসিয়ে লেট্রিন তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া টয়লেটগুলো এমনভাবে ঘরের পাশে নির্মিত হয়েছে যে হরহামেশাই টয়লেটের বিষাক্ত গ্যাস ঘরে প্রবেশ করে পরিবেশ দূষণ ঘটাবে এবং নানা প্রকার রোগ ছড়াবে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

গুচ্ছগ্রামের কাজের ঠিকাদার দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার আব্দুর রাজ্জাক মুঠোফোনে বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সকল গুচ্ছগ্রামের কাজই আমরাই করে থাকি। ইতোপূর্বে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, খুলনা, লালমনিরহাট জেলায় গুচ্ছগ্রামের কাজ পেয়েছি যেগুলো এখনও চলমান রয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলাতেও কাজ চলছে। আমরা যেভাবে নির্দেশনা পেয়েছি সেভাবে কাজ করা হচ্ছে। তবে এত অল্প জায়গায় এতবেশি বাড়ি নির্মাণ অন্য কোথাও করা হয়নি।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, অল্প জায়গায় বেশি বাড়ি করতে হচ্ছে। প্রতিটি বাড়ির জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এসব গুচ্ছগ্রামের বাড়ি নির্মাণের কাজ মূলতঃ আমরাই করে থাকি কোন ঠিকাদার দ্বারা করা হয় না। খুঁটিগুলো অনেক বেশি শক্ত করে তৈরি করা হয়েছে তাই খুঁটির সাথে এঙ্গেল লাগাতে গিয়ে রড বাকা করার সময় কয়েকটি খুঁটির মাথা ভেঙে গেছে মাত্র। সেগুলো মেরামত করে দেওয়া হবে। কোন খুঁটির মাঝ বরাবর ভাঙেনি। যদি ভেঙে থাকে তাহলে অবশ্যই বদল করা হবে।