• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

সৈয়দপুরে ভেজাল বিরোধী অভিযান, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯  

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন কোম্পানির নকল কয়েল বিক্রি, নাম ঠিকানা, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদবিহীন ভেজাল বড়ই আচার সংরক্ষণ এবং বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকের অর্থদন্ড করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার(১৮ নভেম্বর) সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ও শহীদ জহুরুল হক সড়কের মুড়িহাটিতে অভিযান চালিয়ে তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকের ৪২ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এ সময় নকল কয়েল ও ভেজাল বড়ই আচার জব্দ করে দলটি।

জানা যায়, সৈয়দপুরে বিভিন্ন কোম্পানির নকল কয়েল অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে এমন অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দলটি। এসময় তারা শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের সাহিদ স্টোর ও রিদম স্টোরে নকল কয়েলের অস্তিত্ব পায়। তবে বিক্রেতারা এসব কয়েল আসল বলে দাবি করলেও এর স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সাহিদ স্টোরের মো. সাহিদের ৩০ হাজার ও রিদম স্টোরের ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। অপরদিকে মুড়ি হাটির একটি পাইকারি মুড়ি চানাচুরের দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ পর্ণ্য ও মেয়াদবিহীন বড়ই আচার সংরক্ষণ এবং বিক্রির দায়ে মুন্না মুড়ি স্টোরের মো. জিয়াউদ্দিনের ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) খন্দকার মো. নুরুল আমিনের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের দিমাজপুর অঞ্চলের নীলফামারী জেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি পরিচালক মমতাজ বেগম, সৈয়দপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. অহিদুল হক সরকার, পৌর স্যানিটারী পরিদর্শক মো. আলতাফ হোসেন সরকারসহ পুলিশ সদস্যরা।

এদিকে, শহরে অভিযান শুরু হয়েছে জানতে পেরে মুড়িহাটি ও শহীদ জহুরুল হক সড়কের অনুমোদন ছাড়া শিশুখাদ্য বিক্রি করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকরা তাদের দোকান বন্ধ করে সটকে পড়ে। পরে অভিযান শেষে দলটি চলে গেলে তারা আবার দোকান খুলে বসে।