• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

হাবিপ্রবিতে বর্ণিল আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ব্যাপক আয়োজনের মধ্যদিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দেন তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম-এর উদ্যোগে এবারই আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হলো। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে নয়টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সুরের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম । পতাকা উত্তোলনের পর শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দেন তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস ও এর সামনের মহাসড়ক প্রদক্ষিন করে আবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা নেচে গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। শোভাযাত্রা শেষে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন।

এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আজকের দিনে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা সকলেই তার কাছে কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, তেভাগা আন্দোলনের জনক হাজী মোহাম্মদ দানেশ-এর নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে, আজকের দিনে তাকেও আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।

তাঁর নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, আমি আসার পর শিক্ষক- কর্মকর্তা- কর্মচারীসহ সকলের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, গবেষণার জন্য বাজেট বৃদ্ধিসহ আইকিউএসি সেল গঠন, ৫০০ আসন বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু হল এবং সেখানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর মুরাল, ভার্চুয়াল ক্লাস রুম, অডিটোরিয়াম-২ কে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তর, বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাবের আধুনিকীকরণ, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের জন্য হ্যাচারী, ভেটেরিনারি অনুষদের জন্য ডেইরি ফার্ম, পোল্ট্রি ফার্ম, আইভি রহমান হলের উন্নয়ন, টিএসসি এর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, শিশু পার্কের আধুনিকীকরণ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, জিমনেশিয়ামের উন্নয়ন, দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা, দৃষ্টিনন্দন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট, কৃষক সেবা সেন্টার, মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক, কেন্দ্রিয় মসজিদে এয়ার কন্ডিশন মেশিন স্থাপন, নির্মাণাধীন ১০তলা একাডেমিক ভবন, নির্মাণাধীন ৬ তলা আবাসিক ভবন, ছাত্রীদের জন্য ৬ তলা হলের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন, ৫ টি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, ছাত্র পরামর্শ বিভাগের ডিজিটালাইজেশন । তিনি আরও বলেন ২০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৫ টি যানবাহন রয়েছে এর মধ্যে আমার আড়াই বছরে বাস, মাইক্রো, এ্যাম্বুলেন্সসহ ১১ টি যানবাহন ক্রয় করা হয়েছে। তিনি বলেন আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই, আমি কাজ করতে চাই, সকলের সহযোগিতা পেলে আরও অনেক কিছু করার ইচ্ছা আছে।

পরিশেষে সকলকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি।