• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

৫০ তোপ ধ্বনিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শুরু

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২১  

৫০ তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে ৫০ বার তোপ ধ্বনির মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। 

১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীর বাঙালি। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা পায়, যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধে অর্জিত হয় আমাদের মুক্তির ইতিহাস-স্বাধীনতার ইতিহাস। 

স্বাধীনতার ইতিহাসে ৩০ লাখ শহিদের আত্মদান এবং ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও সংগ্রামের গৌরবগাঁথা, গণবীরত্ব জড়িত।

স্বাধীন অভিযাত্রায় এক মহা-সন্ধিক্ষণ পার করছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ করছে প্রিয় মাতৃভূমি। কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহত করার নতুন শপথে বলিয়ান হওয়ার দিন আজ। 

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষের’ মাহেন্দ্রক্ষণে উদযাপিত হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ সুবর্ণজয়ন্তী সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য এক আনন্দঘন গৌরবের অনুভূতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একের পর এক মাইলফলক অর্জন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকে মহিমান্বিত করেছে।

রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহংকারের দিন আজ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২৬ মার্চ থেকে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ব্যাপক আয়োজনে থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদকদল স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাদ্য বাজাবেন।