• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

৯০ কিলোমিটারের ‘মরার সড়ক’ এ দুর্ভোগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৯  

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বন্দরে আসা পণ্যবাহী ট্রাকচালক, ভারত-ভুটান-নেপালের পাসপোর্টধারী যাত্রী, স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগীরা এ সড়কের নাম দিয়েছেন ‘মরার সড়ক’।

তাদের অভিযোগ, সংস্কারে গাফিলতি, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার, জলাবদ্ধতা ও অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করায় একশ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খানাখন্দের কারণে প্রায়ই মাঝসড়কে বিকল হয়ে পড়ে পণ্যবাহী ট্রাক। দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

শত প্রতিকূলতায় অনীহা দেখা দিয়েছে বন্দরের ব্যবসায়ীদের মাঝে। ভোগান্তি এড়াতে বাইপাস সড়কগুলোতেও বেড়েছে যানবাহনের চাপ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লালমনিরহাট-বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়কটি পাঁচটি উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা অংশ কিছুটা ভালো থাকলেও কালীগঞ্জ-আদিতমারী এবং সদর উপজেলা অংশসহ ৯০ কিলোমিটার সড়কই চলাচলের অযোগ্য।

ট্রাকচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্থলবন্দরের দিকে গেলেই ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কখনো কখনো ট্রাক উল্টে যায়। তবুও আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করি।

উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বখতিয়ার আলম বলেন, জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পাটগ্রামগামী ১০ কিলোমিটার অংশের প্রশস্থকরণ ও সংস্কার কাজের জন্য ৩০ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে। বরাদ্দ পেলে পুরো মহাসড়ক সংস্কার করা হবে।

তিনি আরো বলেন, জুন মাসে পুরো মহাসড়ক সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া মাঝেমধ্যেই সওজ’র নিজস্ব তহবিল থেকে খানাখন্দ ভরাট করা হচ্ছে। মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তাই আপাতত সংস্কার কাজ হচ্ছে না।