• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অনলাইনে জলমহাল ইজারার আবেদন চালু করল ভূমি মন্ত্রণালয়

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২১  

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আসছে পরিবর্তন। অনলাইন সেবা বাড়ানোর মাধ্যমে জনসেবা নিশ্চিতে কাজ করছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সংযুক্ত করছে অনলাইনে নানা সেবা। এবার থেকে জলমহাল ইজারার আবেদন করা যাবে অনলাইনে। সোমবার অনলাইনে আবেদন দাখিলের সুবিধা চালু সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিল, হাওর, বাওর, নিচু জলাভূমি ও নদ-নদীতে মাছ আহরণের মতো জলমহাল এলাকা ইজারা দেওয়া হবে। এক হিসাব মতে, ছোট-বড় মিলিয়ে দেশের জলমহালের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। এসব ইজারা দিয়ে বছরে প্রায় শতকোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। বেশ কয়েকটি জলমহাল ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে ইজারাবিহীন রাখা রয়েছে। যার মধ্যে- দিনাজপুরের রামসাগর, সিরাজগঞ্জের হুরাসাগর, মাছ সংগ্রহের অভয়াশ্রম ঘোষিত সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর অন্যতম।

পরিপত্রে বলা হয়, সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি, ২০০৯ অনুযায়ী নিবন্ধিত ও প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি জলমহাল ইজারা পেতে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে, সাধারণ আবেদনে জেলা ও উপজেলায় আবেদন করে। কিন্তু চলমান পদ্ধতিতে আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা না দেওয়া আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে সব কাগজ জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। আবেদন বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়াও জলমহাল ইজারা গ্রহণের জন্য প্রতিযোগিতা, একাধিক সমিতির আবেদন দাখিলে অনেকধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদক্ষেপ হিসেবে সায়রাত মহালসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অনলাইনে ডাটাবেজ (ভূমি তথ্য ব্যাংক) তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। অনলাইনে ই-নামজারিসহ ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। জলমহাল ইজারার আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া অনলাইনে চালু হলে জলমহাল ইজারার আবেদন করাসহ ইজারা প্রক্রিয়ার জটিলতা নিরসন সম্ভব হবে।

অনলাইন সেবা পাওয়া যাবে- land.gov.bd ভূমিসেবা কাঠামো থেকে অথবা সরাসরি jm.lams.gov.bd ওয়েবসাইটে।