বাংলাদেশে প্রথম যে গ্রাম সিসি ক্যামেরার আওতায় এল

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউপির তিলকপুর গ্রামে ৩০০টি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে পুরো গ্রামকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিলেন গ্রামের কয়েকজন যুবক। তাদের দাবি বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো গ্রাম সিসি ক্যামেরার আওতায় এলো।

শুক্রবার দুপরে তিলকপুর হাফিজিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে এই কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

তিলকপুর যুব সমাজ ও তিলকপুর হাফিজিয়া মাদরাসার আয়োজনে এতে সভাপতিত্ব করেন উজ্জল হোসেন।

উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এলাকার তিন মুক্তিযোদ্ধা। তারা হলেন আব্দুল মান্নান, আব্দুস সামাদ চুন্নু ও জামাত মণ্ডল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরীফ পান্না, আ. মান্নান মাস্টার, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, আইনুল হক প্রামানিক, ফিরোজ হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

বক্তারা যুবকদের যুগপোযোগী এ কাজের প্রশংসা জানিয়ে বলেন, এতে করে এই গ্রামটি আরো সুরক্ষিত থাকবে।

এ কাজের অন্যতম উদ্যোক্তা ও সমন্বয়কারী শাহীন রানা জানান, তাদের এই তিলকপুর গ্রামই দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম সিসি ক্যামেরার আওতায় আসা ডিজিটালাইজড গ্রাম। তাদের এই বিষয়ে মনিটরিং ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকবে। তার জন্য ছয়টি মনিটর রাখা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে হাফিজিয়া মাদরাসার একটি কক্ষে।

তিনি আরো জানান, তাদের তিলকপুর যুব সমাজের সঙ্গে গ্রামের প্রায় ২০০ যুবক জড়িত। কয়েকজন সমাজ সেবকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং গ্রামের যুব সমাজের সাহায্যে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় করে তারা এ উদ্যোগটি সফল করতে সক্ষম হয়েছেন।

শাহীন রানা জানান, যদি আরো কেউ সহায়তা করে তাহলে তারা পুরো গ্রামে আরো ক্যামেরা সংযোজন করা যাবে। এতে এলাকা থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজি, মাদক, ইভটিজিং সহ অন্যান্য অপকর্ম দূর হবে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, গ্রামবাসীর এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এরপর গ্রামে অপরাধমূলক কাজ কমে আসার কথা। আর কোনো অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হলেও অপরাধীদের শনাক্ত করা সুবিধা হবে। এতে জনগণের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও উপকৃত হবে।