বেরোবিতে আবাসন সংকট, ১০ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে আসন সংখ্যা ৯৩৭
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৯
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে আবাসিক হলগুলোতে আসন সংখ্যা মাত্র ৯৩৭টি। ফলে সিংহভাগ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার মেসগুলোর ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হল মিলে আসন সংখ্যা মাত্র ৯৩৭টি। এর মধ্যে ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সর্বাধিক আসন ৩৫৫টি ও শহীদ মুখতার ইলাহী হলে ২৪০টি। আর মেয়েদের জন্য একমাত্র শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩৪২টি আসন রয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় এ আসন সংখ্যা অতি নগণ্য।
হলগুলোতে প্রতিরুমে চারজন থাকার কথা থাকলেও দেখা গেছে রুমগুলোতে ৬-৮ জন করে থাকছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চরম আবাসন সংকট নিরসনে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও ছেলেদের জন্য নতুন হল নির্মাণ করার তেমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদানে মেয়েদের জন্য নির্মাণাধীন 'শেখ হাসিনা' হলের নির্মাণ কাজও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
হলে অবস্থান করা এক শিক্ষার্থী জানান, রুমে শিক্ষার্থী থাকার ধারণ ক্ষমতা চারজন হলেও আমরা সাতজন একই রুমে থাকছি। এতে করে পড়াশোনার জন্য মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। পরিবার থেকে তেমন আর্থিক সাপোর্ট না থাকায় কষ্ট করেই এভাবে হলে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু এটা আমাদের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
এদিকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষার্থী আসছে প্রায় ১৩৫০ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় সকলকে উঠতে হবে ক্যাম্পাসের বাইরের মেসগুলোতে। বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় শতাধিক আবাসিক মেস গড়ে উঠেছে। যেখানে মেস মালিকেরা তাদের ইচ্ছেমতো বাড়তি টাকা আদায় করছেন। এ মেসগুলোতে গাদাগাদি করে থাকছে শিক্ষার্থীরা। এতে প্রতিনিয়ত নানান বিপত্তির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অপরিচ্ছন্ন সেমিপাকা ঘর, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাব, নিরাপত্তাসহ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের। ফলে তাদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে। এর মধ্যেও মেসের চড়া মূল্য ও খাবার বিল দিতে অতি কষ্টে দিন অতিবাহিত করছেন গরিব শিক্ষার্থীরা।
দ্বিতীয় সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোতে পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় বাইরের মেসে থাকছি। যেখানে প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভাড়া দেওয়া লাগছে। আবার নতুন করে মেসে ওঠার সময় জামানত এবং উন্নয়ন ফি এর নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে মেস মালিকেরা। নিরুপায় হয়ে সেই টাকা দিয়েই মেসে ওঠা লাগছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য যে আবাসন ব্যবস্থা আছে তা খুবই নগণ্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত আরো হল নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধান করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী কমলেশ চন্দ্র সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদানে মেয়েদের জন্য 'শেখ হাসিনা' হল নির্মাণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ছেলেদের জন্য নতুন কোনো হল নির্মাণের ব্যপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা নির্মাণের দ্বিতীয় ফেজের কাজে নতুন হল নির্মাণ করা হবে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ৭৫ একর জায়গা আছে এখানে নতুন করে কোনো দালান তোলার সুযোগ কম। আমরা যদি আরো ৭৫ একর জায়গা নিতে পারি তাহলে হয়তো আরো আবাসিক হল নির্মাণ করা যাবে। আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা একটা মাস্টার প্লান তৈরি করেছি। সেখানে এটাও আছে। আর মেসগুলো যদিও বেসরকারিভাবে পরিচালিত এবং সরাসরি আমাদের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে আমরা ছাত্র পরামর্শ দপ্তর এবং প্রক্টরিয়াল দপ্তরকে অ্যাক্টিভেট করার মাধ্যমে মেস মালিকদের সাথে অনানুষ্ঠানিকভাবে বসতে পারি। যেহেতু আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব দাবি করি সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সহানুভূতির সাথে বিষয়টা নিয়ে ভাবব।
- ডোমারে রেড ক্রিসেন্টের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ
- নীলফামারীতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সভা
- গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন
- দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
- দিল্লিকে সহজেই হারাল কলকাতা
- শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- ঠাকুরগাঁওয়ে হিট স্ট্রোকে নারী শ্রমিকের মৃত্যু
- মিনিটেই নকল ‘স্মার্ট কার্ড’, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীরা
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যু
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- যেমন যাবে আজকের দিনের আবহাওয়া
- মোংলা একসময় বাতির নিচে অন্ধকার ছিল: মেয়র আব্দুল খালেক
- রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু মঙ্গলবার
- রাত ৮টার পর শপিংমল-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা
- তীব্র তাপদাহে নীলফামারীতে পথচারীরা পেল পানির বোতল
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেওয়ার প্রস্তাব অস্ট্রিয়ার
- খেলতে গিয়ে চোরাবালিতে ডুবে যায় কিশোর, অতঃপর...
- জলঢাকা পৌরসভায় উপ-নির্বাচনে মেয়র হলেন নোভা
- নাশকতা মামলায় কুড়িগ্রামে যুবদলের সভাপতিসহ কারাগারে ৬
- মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান শিরোপা পিএসজির
- প্রথম স্ত্রীর হাতে কেন চড় খেয়েছিলেন আমির?
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- আবারো কমলো সোনার দাম
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার কবে বন্ধ হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
- ঈদুল আজহায় পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি