• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোটের আগেই সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮  

সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষা একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নেওয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার পরই ভোটের আগে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ও নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির একজন কর্মকর্তা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণায় ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর পরীক্ষা আয়োজনের জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে কমিশনে। ভর্তিপরীক্ষা আয়োজনের সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসি’র কোনও কর্মসূচি না থাকায় ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করার অনুমোদন দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে সম্মতিপত্র পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করায় ডিসেম্বরের শেষের দিকে ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়। পরে নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর পিছিয়ে যাওয়ায় ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর সরকারি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা ও লটারি আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ইসির নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনুমতির জন্য গত বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইসিতে চিঠি দিয়ে অনুমোদন চাওয়া হয়।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘ইসির নির্দেশনা ছিল নির্বাচনের আগেই ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে। আমরা সেটাই করেছি। তবে, যখন ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করলো ইসি, তখন নির্দেশ এলো ভর্তিপরীক্ষা নির্বাচনের পরে আয়োজন করতে হবে। কিন্তু যখনই নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হলো, তখনই নির্বাচনের আগেই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি দিলো মন্ত্রণালয়।’

অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘ইসি যদি অনুমতি দেয়, তাহলে ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বররের মধ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিপরীক্ষা ও ২০ ডিসেম্বর প্রথম শ্রেণির লটারি আয়োজন করা হবে। প্রথম শ্রেণির লটারির ফল সেদিনেই প্রকাশ করা হবে। আর পরীক্ষার ফল ডিসেম্বরের শেষের দিকে অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। মেধা তালিকা তৈরি থাকবে। তবে ভর্তির বাকি কার্যক্রম নির্বাচনের পরে শেষ হবে।’

উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগরের ৩৮ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭টি হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে। এসব বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৯৬০ আসনে লটারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে। এছাড়া, ২য় শ্রেণিতে ৮৪৯টি, ৩য় শ্রেণিতে ২ হাজার ১২৬টি, ৪র্থ শ্রেণিতে ৮২২টি, ৫ম শ্রেণিতে ৮৪৯টি, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৩ হাজার ৫৫৭টি, ৭ম শ্রেণিতে ৭৩৮টি, ৮ম শ্রেণিতে ৯৯৭টি এবং ৯ম শ্রেণিতে ৪৬৮টি আসন রয়েছে। এছাড়া, ঢাকার বাইরের সরকারি উচ্চবিদ্যালয়গুলোর ভর্তিপরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে।