• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুচকা এলো যেমন করে 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

বাঙালি নারীর সবচেয়ে প্রিয় খাবারের তালিকা করা হলে উপরের দিকেই থাকবে ফুচকার নাম। টক আর ঝাল স্বাদের এই খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। ফুচকার জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ফুচকার আরেকটি নাম আছে। সেটি হলো গোলগাপ্পা। এটি ভারতে প্রচলিত। হিন্দিভাষীরা ফুচকাকে গোলগাপ্পা বলে। তবে যে নামেই ডাকা হোক, এর জনপ্রিয়তা রয়েছে সব জায়গাতেই।

মশলাদার খাবার ফুচকা খাওয়ার ধরন সব অঞ্চলে একইরকম নয়। অঞ্চলভেদে এর তৈরির প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা দেখা যায়। কোথাও পেঁয়াজ ছাড়া নিরামিষ উপকরণ দিয়ে ফুচকা তৈরি করা হয়। কোথাও আবার পেঁয়াজ দিয়ে ফুচকা তৈরি করার চল। এছাড়া এর চাটনি তৈরির প্রক্রিয়াও অনেকরকম।

সাধারণত পুদিনা পাতা, লেবু, তেঁতুল দিয়ে তৈরি করা হয় ফুচকার পানি। এর ভেতরের পুর হিসাবে থাকে আলু। বিভিন্ন সুস্বাদু মসলা, ছোলা, মটর দিয়ে মাখানো হয় সেই আলু। সাধারণত এটিই পুর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেকে আবার মিষ্টি পানি দেওয়া ফুচকা বেশি পছন্দ করেন। অর্থাৎ, ফুচকার চাটনির সঙ্গে চিনিও মিশিয়ে দেওয়া হয়। ফুচকা তৈরির পর সেদ্ধ ডিম কুচি করে দেওয়া হয় অনেক জায়গায়। যারা বাড়তি ঝাল চান তাই অতিরিক্ত মরিচ কুচি যোগ করে নেন।

ফুচকার উৎপত্তি কোথায় হয়েছিল এই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে। ভারতীয় রন্ধন বিশেষজ্ঞ কুরুশ দালালের মতে, উত্তর ভারতেই প্রথম প্রচলন হয়েছিল জনপ্রিয় এই মুখরোচক খাবারের। রাজ কচুরি থেকে বিবর্তিত হয়ে এই খাবার উৎপত্তি হয়েছে, এমনটাই বলেন তিনি।

বিংশ শতাব্দিতে ভারতের মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যাতায়াত শুরু করেন। এর ফলে ধীরে ধীরে অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে এই খাবার। তবে ফুচকা সব জায়গাতে একই স্বাদের হয় না। প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষেরা তাদের নিজেদের পছন্দমতো একটি স্বাদ নির্বাচন করে সেভাবে তৈরি করা শুরু করেন। এভাবেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ফুচকা।