• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

ঈদের নতুন জামা-সালামী পেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২৪  

নয় বছরের রাকিব, বাবা নেই ছেলের ঈদের নতুন জামার জন্য শঙ্কায় ছিল মা। অনেকদিন ধরে তার নতুন কোনো জামা নেই, ঈদের নতুন জামা পেয়ে তার যে কি আনন্দ! এভাবে কারও বাবা নেই, কারও নেই মা। তাদের অনেকে এতিম। আছে অনেকে শারিরিক প্রতিবন্ধিও। যাদের অনেকেরেই বেড়ে উঠা ঝুপড়ি ঘরে। অভাব-অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপনে অভ্যস্ত এসব শিশুদের ঈদের আনন্দে আন্দোলিত হওয়া তো দূরের কথা, ঠিকমত খাবারই জোটা দুস্কর।

ঠিক এমন এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিশুদের হাতে ঈদের নতুন জামা আর ঈদের সেলামী তুলে দিয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে শহরের গোলাহাট রাজ্জাকিয়া গফুরিয়া মাদরাসা মাঠে শতাধিক ওই ছিন্নমূল অসহায় শিশুদের হাতে নতুন পোশাক ও ঈদ সালামী উপহার দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।

নতুন টাকা আর ঈদের নতুন জামা পেয়ে উচ্ছাসিত অসহায় শিশু সোহাগী বলেন, তার বাবা নেই। মা অন্যের বাসায় কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনমতে চলে। ঈদে নতুন পোশাক ও পরবির টাকা পেয়ে সে খুবই আনন্দিত। ৯ বছরের সিরাজ। দু বছর আগে বাবা মারা গেছে। দিন মজুর মায়ের পক্ষে ঈদের নতুন জামা নেওয়াতেও ছিল শংকা। অনেকদিন ধরে তার নতুন কোনো জামা নেই। এবার নতুন জামা ও সেলামী পেয়ে আনন্দের শেষ ছিলো না তাঁর। এখন ঈদ তাদের ভালই কাটবে বলে জানায় তারা।

এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এমআর আলম ঝন্টু, রাজ্জাকিয়া গফুরিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, সংগঠনের ওয়াকার আনসারী, এসরার আনসারী, নওশাদ আনসারী, সামিউল আলিম, আরিফুল ইসলাম, অনলী রাজা, জয়, আয়ান, সামির, মোস্তফা, সেরু, মুনতাহা প্রমুখ।

সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ওয়াকার আনসারী বলেন, প্রতিবছর এরকম সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের ঈদের নতুন জামা ও সালামীর ব্যবস্থা করে থাকি আমরা। এবারও ঈদে ৩ পর্যায়ে আমরা সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও নারী পুরুষদের ঈদের নতুন জামার উপহার দিচ্ছি। প্রথম পর্যায়ে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের নতুন জামা ও ঈদ সালামী দিচ্ছি এবং এরপর নারী-পুরষদের শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস পাঞ্জাবি দেওয়া হবে। এবং চান্দ রাতে দুস্থ পরিবারগুলোর মাঝে সেমাই চিনি দুধ বিতরণ করা হবে। বড় আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও আমাদের সংগঠনের সদস্যরা এসব এতিম, ছিন্নমূল শিশু ও মানুষের কাঝে নতুন পোশাক পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের এই ধারাবাহিকতা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত থাকবে। উপহার হিসেবে সামান্য হলেও শিশুদের মুখের হাসি আর ওদের প্রাপ্তির আনন্দই আমাদের স্বার্থকতা বলে জানান সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।