নবী (সা.)-এর শেষ ভাষণের বিষয়বস্তু ও ঐতিহাসিক ৩ জায়গা
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১ জুন ২০২২

নবী (সা.)-এর শেষ ভাষণের বিষয়বস্তু ও ঐতিহাসিক ৩ জায়গা
আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে প্রেরণ করেছেন দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী ও পূর্ণতা দানের জন্য। যখন দ্বীন ইসলাম বিজয় ও পূর্ণতা লাভ করে তখন তিনি তার বিদায়ের কথা অনুভব করেন।
আরবি দশম হিজরী সনে রাসূল (সা.)-এর বিদায় হজ করেন। বিদায় হজের ভাষণে লাখের অধিক সাহাবি উপস্থিত ছিলেন। যে কোনো আদর্শিক নেতার জীবনের সর্বশেষ কর্মী সম্মেলনে দেওয়া ভাষণ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) কেবল নেতা ছিলেন না, তিনি শেষনবী ও বিশ্বনবী। অধিকন্তু তার দৃঢ় আশংকা ছিল যে, এটাই তার জীবনের সর্বশেষ হজ ও সর্বশেষ বিশ্ব সম্মেলন। আর নবী জীবনের পরিপূর্ণতা সাধিত হয়েছে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিদায় হজের ভাষণে।
দশম হিজরীতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার সাহাবির সামনে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ বিকালে আরাফাতের ময়দানে যে বক্তব্য পেশ করেন এবং পরদিন ১০ জিলহজ ঈদের দিন ও কোরবানির দিন প্রদান করেছিলেন। এই দুদিনে দেওয়া তার বক্তব্য বিদায় হজ্জের ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে পরিচিত।
তাই তিনি হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে ইয়েমেনের গভর্নর নিযুক্ত করে প্রেরণকালে বলেছিলেন, ‘হে মুয়াজ, সম্ভবত এ বছরের পর আমার সঙ্গে তোমার আর সাক্ষাৎ হবে না। হয়তো তুমি আমার মসজিদ ও আমার কবরের পাশ দিয়ে গমন করবে।’
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ঐতিহাসিক বিদায় হজের ভাষণ-
১. হে জনতা, আমার কথাগুলো গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনো, আমি জানি না, এবারের পর তোমাদের সঙ্গে এ জায়গায় আর একত্র হতে পারব কি-না।
২. হে মানবমণ্ডলী, স্মরণ রাখো, তোমাদের আল্লাহ এক, তার কোনো শরিক নেই। তোমাদের আদি পিতা একজন, অনারবদের ওপর আরবদের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। তদ্রূপ সাদার ওপর কালোর কোনো প্রাধান্য নেই। আল্লাহ ভীতিই শুধু শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার মানদণ্ড।
৩. তোমাদের পরস্পরের রক্ত ও ধন-সম্পদ আজকের দিন, এ মাস এবং এ শহরের মতো পবিত্র।
৪. শোনো, জাহেলিয়াতের সব কিছু আমার পদতলে পিষ্ট করা হয়েছে। জাহেলিয়াতের রক্তের দাবিও রহিত করা হলো।
৫. জাহেলি যুগের সুদ রহিত করা হলো। আমাদের মধ্যকার প্রথম যে সুদ আমি রহিত করছি তা হলো, আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিবের সুদ। এখন থেকে সব ধরনের সুদ হারাম করা হলো।
৬. স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। কেননা আল্লাহর আমানতস্বরূপ তোমরা তাদের গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কলেমার মাধ্যমে হালাল করা হয়েছে। তাদের ওপর তোমাদের অধিকার রয়েছে যে তারা তোমাদের বিছানায় এমন কাউকে স্থান দেবে না, যাদের তোমরা পছন্দ করো না। তারা এরূপ করলে প্রহার করতে পারো। তবে কঠোর প্রহার করবে না। তোমাদের ওপর তাদের অধিকার হলো, তোমরা যথাযথ অন্ন-বস্ত্র প্রদান করবে।
৭. আমি তোমাদের কাছে এমন দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যা দৃঢ়ভাবে ধারণ করলে পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল্লাহর কিতাব আর অন্যটি হলো আমার সুন্নাহ।
৮. হে জনতা, মনে রেখো, আমার পরে কোনো নবী নেই। তোমাদের পরে কোনো উম্মত নেই। ফলে তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, রমজানের রোজা রাখবে, স্বেচ্ছায় ধন-সম্পদের জাকাত দেবে, আল্লাহর ঘরে হজ করবে, শাসকের আনুগত্য করবে। যদি তোমরা এসব পালন করো, তাহলে তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে (ইবনে মাজাহ)।
৯. হে মানবমণ্ডলী, পিতার অপরাধে পুত্র দায়ী হবে না এবং পুত্রের অপরাধে কোনো পিতাকে দায়ী করা হবে না।
১০. তোমাদের সঙ্গে আমার সম্পর্কের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হবে। তোমরা তখন কী বলবে? সাহাবায়ে কেরাম প্রত্যুত্তরে বলেন, আমরা সাক্ষ্য দেব যে আপনি দ্বিনের দাওয়াত দিয়েছেন, আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়ে দিয়েছেন, ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।
মহানবী (সা.) এ কথা শুনে শাহাদাত আঙুল আকাশের দিকে উত্তোলন করে লোকদের দিকে ঝুঁকিয়ে তিনবার বলেন, হে রব, আপনি সাক্ষী থাকুন (সহিহ মুসলিম)।
১১. প্রত্যেক মুসলমান ভাই ভাই। তোমরা তোমাদের দাস-দাসী সম্পর্কে সতর্ক থাকবে। তোমরা যা খাবে তাদেরও তা খেতে দেবে। তোমরা যা পরিধান করবে তাদেরও তা পরতে দেবে। তাদের অপরাধ ক্ষমা করে দেবে। শাস্তি দেবে না।
১২. হে মানবজাতি, ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না। কেননা অতীতের অনেক জাতি এ বাড়াবাড়ির কারণে ধ্বংস হয়েছে। উপস্থিত ব্যক্তিদের দায়িত্ব হবে আমার এ কথাগুলো অনুপস্থিত লোকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
মহানবী (সা.) ভাষণ শেষ করলেন। এবং তার চেহারা মোবারক উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তিনি করুণ স্বরে করুণভাবে আকাশ পানে তাকালেন এবং তিনি বললেন, ‘হে মহান প্রভু! হে পরওয়ার দিগার! আমি কি তোমার দীনের দাওয়াত পরিপূর্ণভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। তখন উপস্থিত জনতা সবাই সম্মিলিতভাবে বললেন, নিশ্চয়ই আপনি আপনার দীন পরিপূর্ণভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন।‘ তখন তিনি আবার বললেন যে, ‘হে প্রভু! আপনি শুনুন, আপনি সাক্ষী থাকুন, এরা বলেছে আমি আপনার দীনকে লোকদের নিকট পৌঁছাতে পেরেছি। আমি আমার কর্তব্য পালন করতে পেরেছি।'
ভাবের আতিশয্যে নবী নীরব হলেন। জান্নাতি নূরে তাঁর চেহারা আলোকদীপ্ত হয়ে উঠল। এই মুহূর্তে কুরআনের শেষ আয়াতটি নাজিল হয়। ‘আজকের এই দিনে তোমাদের দীনকে পূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের ওপর আমার নিয়ামত পূর্ণ করে দিলাম। ইসলামকেই তোমাদের ওপর দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’
হজরত রাসূল (সা.) কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। জনতাও নীরব। কিছুক্ষণ পর হজরত (সা.) জনতার দিকে তাকালেন এবং করুণ গম্ভীর কণ্ঠে বললেন বিদায় বন্ধুগণ, বিদায়।
হজরত রাবিয়া ইবনে উমাইয়া ইবনে খালফ জনতার কাছে উচ্চকণ্ঠে বিদায় হজ্জের ভাষণের বাণী পৌঁছে দেন (ইবনে হিশাম)।
(আল-কোরআন, পারা: ৬, সূরা-৫ মায়িদাহ, আয়াত: ৩)। (বিশ্বনবী, গোলাম মোস্তফা; সীরাতুন নবী (সা.), ইবনে হিশাম (র.), খণ্ড: ৪, পৃষ্ঠা: ২৭৩-২৭৭; আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইবনে কাসীর (র.), খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ১৯৮ ও ৩২০-৩৪২, ই. ফা. বা.)।
যেসব স্থানে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন
পবিত্র হজ ফরজ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের প্রথম ও শেষ হজে আরাফার মরু প্রান্তরে প্রায় সোয়া লাখ মানুষের সমাবেশে হজরত মুহাম্মদ (সা.) যে ভাষণ দেন, ইসলামের ইতিহাসে তা-ই ‘হাজ্জাতুল বিদা’ বা ‘বিদায় হজ’ নামে পরিচিত। এই ভাষণ এক মজলিসেই শেষ হয়ে যায়নি বরং তিনটি ধাপে, তিনটি স্থানে এই ভাষণ দেওয়া হয়।
নিচে সেই তিনটি স্থানের পরিচিতি তুলে ধরা হলো-
১. মসজিদে নামিরা: আরাফার মসজিদের নাম হলো মসজিদে নামিরা। আরাফার ময়দানের পশ্চিম সীমান্তে রয়েছে এই মসজিদ। মসজিদের পশ্চিম পাশে ছোট্ট একটি পাহাড় রয়েছে, যার নাম নামিরা। আরাফার দিন রাসুল (সা.)-এর তাঁবু এখানেই স্থাপন করা হয়েছিল। সূর্য ঢলার পর তিনি এরই নিকটবর্তী ওয়াদি উরানায় (উরানা উপত্যকায়) হজের খুতবা প্রদান করেন এবং নামাজের ইমামতি করেন। এটিই হলো বিদায় হজের প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক ভাষণ।
যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি খুতবা প্রদান করেন এবং ইমামতি করেন, সেখানে হিজরির দ্বিতীয় শতকে মসজিদ (মসজিদে নামিরা) নির্মাণ করা হয়। এই উপত্যকা (ওয়াদি উরানা) আরাফার সীমানার বাইরে। ফলে এখানে নির্মিত মসজিদটিও আরাফার সীমানার বাইরে ছিল। পরবর্তী সময় মসজিদটি প্রশস্ত হতে থাকে। এভাবে মসজিদের পেছনের অংশ আরাফার সীমানার মধ্যে বিস্তৃত হয়। এ কারণেই মসজিদে নামিরার কিছু অংশ (পুরনো অংশ) আরাফার সীমানার বাইরে আর কিছু অংশ আরাফার সীমানার মধ্যে পড়েছে।
মসজিদের ভেতরে দুই সীমানার মধ্যে বোর্ড ঝোলানো রয়েছে, যাতে লেখা আছে যে ‘এখান থেকে আরাফার সীমানার বাইরে।’ যাতে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করার পর আরাফার বাইরের অংশে নামাজ আদায়কারী হাজিরা পিছে সরে আরাফার সীমানার মধ্যে এসে উকুফে আরাফা করতে পারেন। বর্তমানে মসজিদের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে দৈর্ঘ্য ৩৪০ মিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে প্রস্থ ২৪০ মিটার। প্রায় সাড়ে তিন লাখ লোক এতে নামাজ আদায় করতে পারে। (তারিখে মক্কাতুল মুকাররমা)
২. জাবালে রহমত: মসজিদে নামিরা থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্ব দিকে, আরাফার ময়দানের পূর্ব দিকে (বর্তমান ৭ ও ৮ নম্বর সড়কের মধ্যে রয়েছে জাবালে রহমত। এটি কঠিন পাথরের চাঁইবিশিষ্ট ছোট একটি পাহাড়। পাহাড়টি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৭২ মিটার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৫ মিটার উঁচু। এই পাহাড়ের উপরিভাগের সমতল স্থানে আট মিটার উঁচু একটি চতুষ্কোণী পিলার রয়েছে, যা দেখে দূর থেকে পাহাড়ের অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। পাহাড়টির আরো কয়েকটি নাম আছে, যেমন—ইলাল, নাবিত ও কুরাইন। (তারিখে মক্কাতুল মুকাররমা)
বিদায় হজে আরাফার দিন শুক্রবার এই পাহাড়ের পাদদেশে একটু উঁচুতে রাসুল (সা.) অবস্থান করছিলেন। ওয়াদি উরানায় (মসজিদে নামিরার সামনের অংশের স্থলে) হজের খুতবা প্রদান ও নামাজের ইমামতি করার পর রাসুল (সা.) তাঁর কাসওয়া নামক উটনীতে আরোহণ করে জাবালে রহমতের কাছে চলে আসেন এবং এর পাদদেশে ডান দিকে (দক্ষিণ দিকে) একটু উঁচুতে ওই উটনীর ওপর আরোহণ করা অবস্থায় কিবলামুখী হয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া ইত্যাদিতে মশগুল থাকেন। এখানে সুরা মায়েদার প্রসিদ্ধ একটি আয়াত নাজিল হয়।
অর্থ : আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বিন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। তবে যে তীব্র ক্ষুধায় বাধ্য হবে, কোনো পাপের প্রতি ঝুঁকে নয় (তাকে ক্ষমা করা হবে), নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৩)
উল্লেখ্য, এটি সেই স্থান, যেখানে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় আসার পর হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর প্রথম দেখা হয়েছিল।
৩. সজিদে খায়েফ: পাহাড়ের চেয়ে নিচু এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচু স্থানকে আরবি পরিভাষায় খায়েফ বলা হয়। আবার দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকাসম ভূমিকেও খায়েফ বলে থাকে আরবরা। ১০ জিলহজ সকালবেলায় যেখানে দাঁড়িয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই জায়গাটি হলো মসজিদে খায়েফ। এই মসজিদে রাসুল (সা.) নামাজ আদায় করেছেন। এবং এখানেই ৭০ জন নবী নামাজ আদায় করেছেন। এটি সওর পাহাড়ের বিপরীত দিকে পাহাড়ের অদূরে অবস্থিত। এর কাছেই রয়েছে শয়তানকে কঙ্কর মারার প্রতীকী স্তম্ভ।
একটি ভিত্তিহীন কথা
একটি অবাস্তব কথা : বিদায় হজ্বের ভাষণ শেষে সাহাবীগণের যার ঘোড়া যেদিকে মুখ করা ছিল তিনি সেদিকেই বেরিয়ে পড়েছেন...! এ কথাটি লোকমুখে প্রসিদ্ধ। বিদায় হজ্বে ‘ইয়াওমে আরাফা’ ও ‘ইয়াওমুন নাহর’-এর খুতবার শেষে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন,
فليبلغ الشاهد الغائب
'উপস্থিত ব্যক্তিরা যেন অনুপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে (কথাগুলো) পৌঁছে দেয়।'
ব্যস, এটা শোনা মাত্রই নাকি সাহাবীগণ যার ঘোড়ার মুখ যেদিকে করা ছিল তিনি দ্বীন প্রচারে সেদিকেই ছুটে গিয়েছেন। এটি বাস্তবসম্মত নয় এবং এমনটি ঘটা সম্ভবও নয়। কেননা উকূফে আরাফা এবং কুরবানীর পর হজের অনেক কাজ বাকি থাকে। সেগুলো বাদ দিয়ে সকলে কীভাবে চলে যাবেন?
সাহাবাগণ দ্বীনের প্রচারে কী পরিমাণ কুরবানী করেছেন সে কথা বুঝাতেই হয়তো এটি বলা হয়ে থাকে। দ্বীনের জন্য তাদের কুরবানীর অসংখ্য ঘটনা হাদীস, সীরাত ও ইতিহাসের কিতাবে রয়েছে। কিন্তু কোথাও এ ধরনের কথা নেই।
আসল বিষয় হল, সাহাবীগণ দ্বীন প্রচার ও জিহাদে পৃথিবীর দিগ্বিদিক ছড়িয়ে পড়েছেন- একথাটি বর্ণনা করতে গিয়ে অতিরঞ্জন করে কেউ হয়তো فليبلغ الشاهد الغائب এই সহীহ বর্ণনার সাথে উপরোক্ত কথাটি যুক্ত করে বলেছে, সেই থেকে লোকমুখে কথাটি ছড়িয়ে পড়েছে। যারা ঘটনাটি এভাবে বলেন তারা এ বিষয়টি চিন্তা করেননি যে, হজ্বের পরে হাজার হাজার সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লামের সাথেই মদীনা মুনাওয়ারায় ফিরে এসেছেন।
সুতরাং আমরা এ কথাটি বলা থেকে বিরত থাকব এবং দ্বীনের জন্য কুরবানী বিষয়ক সাহাবীগণের যে সকল সহীহ ঘটনা রয়েছে সেগুলো বলব। কারণ, আমাদের প্রতিটি কথার জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ আমাদের অবাস্তব, ভিত্তিহীন কথা বলা থেকে হেফাজত করুন।
- কক্সবাজারে পর্যটক হয়রানি ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ
- ৩ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ১৮টি অ্যারাবিয়ান ঘোড়া উপহার দিল কাতার
- আগামী সপ্তাহ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাংলাদেশ-ভুটান শুল্কমুক্ত বাণিজ্য
- স্বেচ্ছায় রক্তদানের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
- ৯৯৯-এ ফোন করে ৫ বছরে ৯ কোটি মানুষ সেবা গ্রহণ করেছে: পলক
- বঙ্গবন্ধুকে সম্মানসূচক মরণোত্তর ডি-লিট ডিগ্রি দেবে ঢাবি
- বিএনপির কর্মকাণ্ডে খালেদা জিয়ার অসন্তোষ
- ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে অজ্ঞাত যুবক নিহত
- দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো মনোনয়ন বাণিজ্যে তারেক
- আবহাওয়া পরিবর্তনে জ্বর ঘরে ঘরে, কোন জ্বরের কী উপসর্গ?
- আটোয়ারীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: আদালতে দুই আসামির স্বীকারোক্তি
- কাউনিয়ায় চালককে নদীতে ফেলে অটোরিকশা ছিনতাই
- হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ সেবা সপ্তাহ চালু
- দুই বছর পর ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলার আয়োজন
- রংপুরে বাল্যবিয়ে ও নারী নির্যাতন বন্ধে শপথ নিলেন ২৫০ রিকশাচালক
- নির্বাচন হতে না দেওয়ার আস্ফালন করে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
- নিষ্প্রাণ ত্বকে প্রাণ ফেরাবে নারকেলের দুধ
- জনবিচ্ছিন্নদের ৭ দলীয় জোট রাজনীতিতে গুরুত্বহীন: তথ্যমন্ত্রী
- জ্বালানি নিরাপত্তা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান
- কম খরচে মাছের ভাসমান খাদ্য তৈরির যন্ত্র উদ্ভাবন শেকৃবি গবেষকের
- ব্রাজিলের ২০২২ বিশ্বকাপের জার্সি প্রকাশ
- সেন্সর পেলো পরীমনি অভিনীত সিনেমা
- ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সরব আরব আমিরাতের রাজকুমারী
- আশুরার শিক্ষা করণীয় ও বর্জনীয়
- ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে টঙ্গী-জয়দেবপুর দ্বিতীয় রেল লাইন
- বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা: বিআরটিএ চেয়ারম্যান
- নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে জরিপ চলছে: প্রধানমন্ত্রী
- কুড়িগ্রামে পাটের মণ ৩ হাজার, কৃষকের মুখে হাসি
- দিনাজপুরে হাসপাতালের আবাসিক কক্ষ থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার
- `শেখ হাসিনা-মোদির মাধ্যমে আবারও মুজিব-ইন্দিরা যুগ ফিরে এসেছে`
- হাকিমপুরে গোপনে মেয়েকে বাল্যবিয়ে বিয়ে দেওয়ায় কারাগারে মা ও ভাই
- ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের আয় ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা
- ঘরে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকাই জ্ঞানার্জনে বড় বাধা: ডা. দীপু মনি
- আমিরাত থেকে আসছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার
- নির্বাচনের সময় সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে ইসি: সিইসি
- ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ চলছে কক্সবাজারে
- ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া কাবিনে সংসার, প্রতিবন্ধীর টাকা নিয়ে উধাও স্বামী
- বাবার ইচ্ছে পূরণে এতিমদের জন্য মাদরাসা বানালেন তরুণ উদ্যোক্তা
- রেমিট্যান্স অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
- মুজিববর্ষে আরো ২৬ হাজারের বেশি পরিবার ঘর পাচ্ছে
- রাজনৈতিক দৈন্যতায় নিঃশেষ হচ্ছে বিএনপি
- বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এলে চা খাওয়াবো: আ`লীগ সভাপতি
- এবারে ইলিশের আকার ও উৎপাদন দুটিই বেড়েছে
- ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর পঞ্চগড়ের বিনোদনকেন্দ্র
- জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী
- কাউনিয়ায় গ্রাম্য সালিসে গলায় জুতার মালা পরানোর অভিযোগ
- বাংলাদেশে হতে পারে এশিয়া কাপ!
- নীলফামারী জেলা কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
- বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৯ নির্দেশনা