• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক, চিরচেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯  

বুধবার একদিনের পরিবহন ধর্মঘটে স্থবির হয়ে পড়েছিল রাজধানীর জনজীবন। রাস্তায় গাড়ি না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসে ধর্মঘট তুলে নেয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

সকালে রাজধানীর উত্তরা,বনানী,মহাখলী, ফার্মগেট, শাহবাগ, মতিঝিল সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এসব রুটে গতকালের চেয়ে তুলনামূলক গণপরিবহনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ফার্মগেট  থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত যানজট লক্ষ্য করা গেছে। 

গতকাল রাজধানীর যে সড়কগুলো ফাঁকা ছিলো। আজ তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। ফিরে পেয়েছে চিরচেনা রাস্তা তার ব্যস্ততম রূপ। শাহবাগ থেকে মতিঝিল কোথাও শ্রমিকদের নৈরাজ্যের চিত্র চোখে পড়েনি। সাধারণ যাত্রীরা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও তার গন্তব্যের গাড়িটি পাচ্ছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তা সিহাব উদ্দিনকে উত্তরা থেকে প্রতিদিন মতিঝিল যেতে হয়। তিনি বলেন, ‘বুধবার গাড়ি না পাওয়াতে অফিসে যেতে অনেক সমস্যা হয়েছে। পাশাপাশি বিকল্প উপায়ে অফিসে যেতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তবে আজ জসিমউদ্দিন থেকেই বাস পাওয়াতে কোন সমস্যা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, আজ পর্যাপ্ত গণপরিবহন রাস্তায় থাকায় সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ খানিকটা লাঘব হয়েছে।

বিমানবন্দর এলাকায় অপেক্ষামান নার্গিস নামের একজন যাত্রী বলেন, ‘রাস্তায় গণপরিবহন বেড়েছে তাই স্বস্তিতে গন্তব্যে যেতে পারছি। আমি প্রতিদিন এখান থেকে বনানীতে অফিসে যাই। কাল খুব কষ্ট হয়েছে। রাস্তার এমন অবস্থা তো অফিস বোঝেনা।’

তিনি আরো বলেন, আইন মানার কথা বললেই শ্রমিকরা যানবাহন বন্ধ করে দেন। এই সংস্কৃতি থেকে শ্রমিকদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

বেসরকারি চাকরিজীবী মালিহা আক্তার বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ এবং এর সংকট থাকার ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হতে হয় নারী যাত্রীদের। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও নারীবান্ধব গণপরিবহন এখনো বাড়েনি।

তিনি আরো বলেন, শ্রমিকরা রাস্তায় গাড়ি নামানোয় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে নারী যাত্রী হওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে গাড়িতে উঠতে হয়েছে। গণপরিবহনের সংকট মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় পরিবহন আরো বাড়ানো উচিত।

প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে পরিবহন ধর্মঘট তুলে নেয়া হয়েছে। ট্রাক মালিক-শ্রমিকরা ঘোষণা দিয়ে ধর্মঘট শুরু করলেও বাস শ্রমিকরা অঘোষিত ধর্মঘট পালন করে আসছিলেন। বুধবার মধ্যরাতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।